কুণ্ডু বাড়ির পুজো দেখতে ফি বছর উপচে পড়ে ভিড়, হাওড়ার রামরাজাতলায় উৎসবের আবহ
বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ার যে সমস্ত বনেদি বাড়িগুলিতে আজও পুরনো নিয়ম মেনে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন হয় তার অন্যতম রামরাজাতলার কুণ্ডুবাড়ি। এ বাড়ির পূর্বপুরুষরা প্রায় দেড়শ বছর আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন। তবে অজানা কারণে একসময় তা বন্ধ হয়ে যায়। ৬৬ বছর আগে নতুন করে পুজো শুরুর সময়ও বাধা আসে। তবে শুরুও হয়। নবমীতে কুমারী পুজো দেখতে কুণ্ডু বাড়িতে আজও ভিড় করেন বহু ভক্ত। চক্রবেড়িয়ার আদি বাড়িতে প্রিয়নাথ কুণ্ডুর হাত ধরে একসময় পুজো হতো। এরপর তা চলে যায় আর এক শরিকের বাড়ি। এ বংশের রঘুনাথ কুণ্ডু নতুন করে পুজো শুরু করতে চান ১৯৫৯ সালে। তখন পুজোর বাকি মাত্র সাত দিন। কাকার কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে যান কুমোরটুলি। প্রতিমার বায়না দেন। বাড়িতে এসে সে কথা জানানোর পর পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। রঘুনাথবাবু বলেন, ‘খুব কষ্ট পেয়ে প্রতিমার বরাত বাতিল করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মৃৎশিল্পীকে বারণ করতে পারিনি। বাড়িতে এসে জানাই যে, মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই থেকে এই বাড়িতে পুজো হয়ে চলেছে।’ কুণ্ডুদের জগদ্ধাত্রীর গাত্রবর্ণ সূর্যোদয়ের রঙের মতো। চতুর্ভুজা দেবী। ত্রিকালীন পুজোর রীতি মেনে নবমীতেই আরাধনা। সাত্ত্বিক ভোগে এখানে জগদ্ধাত্রীকে দেওয়া হয় পরমান্ন। এরপর রাজসিক ভোগে পোলাও ও নানা ধরণের তরকারি নিবেদন করা হয়। সবশেষে তামশিক ভোগে থাকে খিচুড়ি ও চচ্চড়ি। সেদিন কুমারী পুজোও হয়। পুজোর আয়োজন ঘিরে এ মুহূর্তে কুণ্ডু বাড়িতে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
বর্তমান সদস্যদের কথায়, পুজোর একটা দিন বহু মানুষ বাড়িতে ভিড় করেন। পরিবারের সব সদস্য মিলিত হন। কুমারী পুজো দেখতে অনেকে বাইরে থেকে আসেন।