• জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে উন্মাদনা জয়নগরে রাস্তা আটকানোয় বিতর্ক, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: জয়নগরে জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে। অনেক মণ্ডপ উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। রাস্তা ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিনব আলোকসজ্জায়। বারুইপুরে গ্রামীণ এলাকায় পুজো ঘিরে এখন সাজ সাজ রব। 

    জয়নগরের সরবেড়িয়া সাহাপাড়ার পুজো ২৫ বছরে পড়ল। প্রতিমার সাবেকি রূপ। গোচরণ মোড়ের আগে পর্যন্ত রাস্তায় গেট তৈরি করে আলোকসজ্জা হয়েছে। পাশাপাশি, নারায়ণীতলা পঞ্চায়েতের সামনের মাঠে মেলা বসে গিয়েছে। সরবেড়িয়া বাজারে গ্রামবাসী বৃন্দের পুজো ২১ বছরে পড়েছে। ঠাকুরের মাতৃরূপ তুলে ধরা হয়েছে এখানে। রাস্তাজুড়ে আলোকসজ্জা এই পুজোর আলাদা আকর্ষণ। এখন দোকানপাট বসে এলাকা জমজমাট। পুজো কমিটির সদস্য সুমন্ত সাহা বলেন, ‘নবমীর দিন নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা হয়েছে।’ জয়নগরের তিলিপাড়ার পুজো এবার ৫২ বছরে পড়েছে। এই পুজোকে ঘিরে এলাকার মানুষজনের উৎসাহ তুঙ্গে। পুজো কমিটির কর্তা চিন্ময় দে বলেন, ‘১৯৭৩ সালে পুজো শুরু হয়। জয়নগরের প্রাচীন পুজো বলে পরিচিত। মায়ের মূর্তি অপরূপ। শনিবার কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি বাউল গান হবে।’ আবার বারুইপুরের চম্পাহাটি ঘোষপুর শক্তি সঙ্ঘের পুজো ৪৬ বছরে পা দিয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা নিলয় কর বলেন, ‘এবারের থিম, ফিরে দেখা। আমাদের ক্লাবের ৪৫ বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’ চম্পাহাটি প্রভাতীর পুজো ৫০ বছরে পড়েছে। সাবেকিয়ানা এখানকার মূল বিষয়। 

    এদিকে, জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার সামনেই কুলতলি যাওয়ার একমাত্র রাস্তা আটকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছে জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে তোড়জোড়। রাস্তার দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছে মানুষ। প্রশ্ন উঠেছে পুজো কমিটি ও পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এস ইউ সির প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর বলেন, মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিস সক্রিয় হয়। অথচ এখন নীরব। 

    জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার বলেন, রাস্তার একটা অংশের খারাপ, ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে দু’দিক। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।    এটি বকলমে পুরসভার পুজো বলে পরিচিত। বিকেলে দেখা গেল, রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ। সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও গাড়িকে যেতে দিচ্ছেন না। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা নিজেই ব্যারিকেড সরিয়ে যাচ্ছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)