• উলুবেড়িয়ায় পুলিসের বাইক চুরির অভিযোগে ধৃত এক, উদ্ধার একাধিক বাইক  
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন খবর পুলিসের কাছে পৌঁছে দিত সে। পুলিসি পরিভাষায় যাকে বলে ‘সোর্স’। ফলে অনেক পুলিসকর্মী তাকে আগে থেকেই চিনতেন। চেঙ্গাইলের সেই বাসিন্দা লক্ষ্মণ মান্না এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুলিসকর্মীর বাইক চুরি করে চম্পট দিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস লক্ষ্মণকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি ওই পুলিস কর্মীর চুরি যাওয়া বাইক সহ একাধিক বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত. তা জানার চেষ্টা হবে। সূত্রের খবর, এর আগেও এক বন্ধুর বাইক চুরি করেছিল সে। সম্প্রতি বাইক চুরির পরিকল্পনা করে চেঙ্গাইল থেকে ট্রেনে করে উলুবেড়িয়া স্টেশনে আসে লক্ষ্মণ। তারপর হেঁটে কালীবাড়ি পর্যন্ত যায়। কিন্তু রাস্তায় চালকহীন অবস্থায় তেমন কোনও বাইক চোখে পড়েনি তার। উলুবেড়িয়া স্টেশনে ফেরার সময় ভক্তার মোড়ে হঠাৎই নজরে আসে একটি বাইক। সেই বাইকের মালিক কর্তব্যরত এক পুলিসকর্মী। তাঁকে অন্যমনস্ক থাকতে দেখে আর দেরি করেনি লক্ষ্মণ। বাইক নিয়ে সোজা চম্পট। তবে শেষ রক্ষা হল না। পুলিসের হাতে ধরা পড়ে গেল সেই ‘সোর্স’। এদিন আদালতে যাওয়ার পথে লক্ষ্মণ চুরির কথা স্বীকার করলেও তার দাবি, টাকার জন্য বাইক চুরি করেছিলাম। তবে বাইকটি পুলিসকর্মীর ছিল বলে জানতাম না।
  • Link to this news (বর্তমান)