• স্থানীয় টর্নেডোয় ভেঙেছে বাড়ি, চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতাবাদ এলাকার বাসিন্দাদের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। কেউই মঙ্গলবারের বিকেলের ঘটনা ভুলতে পারছেন না। রাতে ভালো ঘুম হয়নি অনেকের। সঙ্গী আতঙ্ক। ১০ মিনিটের টর্নেডো এত ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা জানা ছিল না ৩৫ বছরের মিনারা সর্দারের। ভেঙে পড়া রান্না ঘরের দিকে তাকালেই তিনি আঁতকে উঠছেন। কপাল জোরে তিনি ও তাঁর ছোট ছেলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। শুধু তিনিই নন, গ্রামের বহু মানুষই ভুলতে পারছেন না ঝড়ের তাণ্ডব। 

    মিনারা বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। রান্নাঘরের উনোনে ভাত চাপিয়েছিলাম। পাশে ছিল ছোট ছেলে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর প্রবল ঝড়। এক ছুটে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। পরিবারের অন্যরাও বাইরে বেরিয়ে যায়। ১০ মিনিট পরিবারের সবাই বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। চোখের সামনেই টালির রান্নাঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। ঝড় থামতে সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে উঠি। রাতে ভয়ে কেউ ঘুমতে পারিনি।’

    দুই কামরার খড়ের ঘরে ১৩ জনকে নিয়ে বাস করেন খুরশিয়া বিবি। ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়ির খড়ের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। নিরুপায় হয়ে পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খুরশিয়া বলেন, ‘ঘরের দেওয়াল কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু ছাউনির অবস্থা খুবই খারাপ।’ 

    গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাহানুর বিবি মোল্লা জানিয়েছেন, স্থানীয় টর্নেডোর জেরে চারটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে গিয়েছে। প্রায় ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ধান গাছের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)