ছট পুজোর দিনে মর্মান্তিক ঘটনা! কুলিক নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের
বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ধুমধাম করে ছট পুজো চলাকালীন কুলিক নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। আজ, শুক্রবার কাকভোরে আকস্মিকভাবেই ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের খরমুজা ঘাটে। পুলিস সূত্রে খবর, ছট পুজো চলাকালীন এক কিশোর সহ ওই যুবক কুলিকের জলে নামে। তারপরই কোনওভাবে দু’জনেই জলে ডুবে যাচ্ছিল। সেটি দেখতে পেয়েই কিশোরটিকে তৎক্ষণাৎ জল থেকে উদ্ধার করে এক স্থানীয় ব্যক্তি। কিন্তু ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। নদীতেই ডুবে যায় সে। বিষয়টি জানা মাত্রই পুলিসের তরফে তল্লাশি শুরু হয় কুলিক নদীতে। দীর্ঘক্ষণ স্পিড বোট, নৌকো নিয়ে তল্লাশিও চলে। শেষপর্যন্ত ডুবুরি নামিয়ে যুবকের দেহটি উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের পরিচয় জানা না গেলেও তাঁর বাড়ি বারোদুয়ারী এলাকায়। প্রসঙ্গত, শহরের এই ঘাটকেই রায়গঞ্জ পুরসভার তরফে ছট পুণ্যার্থীদের জন্য আলো লাগিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। পুণ্যার্থীদের সতর্কতার জন্য বারবার চলছিল সতর্কতামূলক ঘোষণা। ছিল সুরক্ষার জন্য নানা ব্যবস্থাপনাও। নজরদারি চালাতে উড়ছিল ড্রোনও। তারপরও ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেলে এক দফায় ছটের নানা উপাচার পালন করেছেন পুণ্যার্থীরা। পরবর্তী পর্যায়ে আজ, শুক্রবার ভোররাতে শহরের খরমুজা ঘাটটিতে ছট পুজো করতে আসেন পুণ্যার্থীরা। ঘাটে চলতে থাকে উপাসনা। ঢাক ঢোলের বোল, প্রদীপের আলোয় অপরূপ সৌন্দর্যে মেতে উঠে গোটা চত্বর। সার্বিকভাবে কুলিকের ঘাটে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। এরই মধ্যে ঘটে গেল অঘটন। এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর সাধনকুমার বর্মণ বলেন, ‘খরমুজাঘাটে এর আগেও জলে ডোবার ঘটনা ঘটেছে। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ঘাটে লাগাতার মাইকে ঘোষণাও চলছিল। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়েছিল নদীর জলে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বোটও টহল দিচ্ছিল ঘনঘন। কিন্তু তারপরেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।’