পার্ক সার্কাসের ফুটপাতে কি লোহার গার্ডরেল বসতে চলেছে? নবান্নে প্রস্তাব পুলিশের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর ব্রিজ সবসময় ব্যস্ত থাকে। এখানে যানবাহনের যাতায়াত সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ওই ব্রিজের ফুটপাত লোহার গার্ডরেল দিয়ে পাকাপাকিভাবে আটকে দিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। এমনকী এই চাওয়া নিয়ে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে। নবান্নেও তা পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। পথচলতি মানুষজন যাতে ফুটপাত থেকে রাস্তায় নেমে আসতে না পারেন তার জন্য ফুটপাতের ধারে লোহার গার্ডরেল বসানো হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের নেপথ্যে আছে পথ দুর্ঘটনা রোখা।
এদিকে ৪ নম্বর ব্রিজে যে পুলিশ অফিসাররা যানবাহন সামলানোর দায়িত্বে থাকেন তাঁরা সম্প্রতি একটি নোট তৈরি করেছেন। সেখানে তাঁদের বক্তব্য, শহরতলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিক থেকে যখন ট্রেন পার্ক সার্কাস স্টেশনে ঢোকে তখন ব্রিজের উত্তর দিকের ফুটপাতে যাত্রীদের ভিড় অত্যন্ত বেড়ে যায়। পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনের সঙ্গে সিঁড়ির মাধ্যমে ওই ফুটপাতে আসার ব্যবস্থা রয়েছে। ওখান দিয়েই যাত্রীরা উঠে ফুটপাতে চলে আসে। যানবাহন ধরতে সেখানে চলে এলে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। বহুবার এখানে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেটাই এখন ঠেকাতে চায় পুলিশ।
পথ দুর্ঘটনা কমাতে এখানে স্থায়ী গার্ডরেল বসানো দরকার বলে মনে করে কলকাতা পুলিশ। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার এই বিষয়ে বলেন, ‘ওই ভিড়ে যাত্রীরাই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ফুটপাত ছেড়ে গাড়ি চলাচলের রাস্তায় নেমে পড়েন। এক কিমি দীর্ঘ ৪ নম্বর ব্রিজ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার রেললাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে। আবার সেটি মা উড়ালপুলে গিয়েছে ৪ নম্বর ব্রিজের উপর দিয়ে। এই ব্রিজ একদিকে তিলজলা রোডের সঙ্গে অপরদিকে দরগা রোডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। তাই এখানে যাত্রী তোলার জন্য অটো ও বাস থামে।
এই স্থায়ী গার্ডরেলই একমাত্র সমস্যার সমাধান পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে এক সিনিয়ার অফিসার জানান, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ৪ নম্বর ব্রিজের ফুটপাত প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব এসেছে। সেটায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি। তবে বিষয়টি দেখে রাখা হয়েছে। কেএমডিএ’র এক সিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার বলছেন, ‘অনেকগুলি বিষয় পরীক্ষা করতে হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই সেতু কতটা অতিরিক্ত ওজন ধরে রাখতে পারবে সেটা জানা।’