জেলার বিজেপি নেত্রী বলেন, এখন সব ভুয়ো নাম বেরিয়ে এসেছে। তৃণমূল এতদিন এই ভাবে টাকা আত্মসাৎ করত। আমরা ভূত খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব। কাটোয়া ২ ব্লকের বিডিও জানান, আমরাও সুদেষ্ণা রায় নামে কাউকে পাইনি। ভূতুড়ে নামের অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। উপভোক্তার নাম সুদেষ্ণা রায়। এই ভূতুড়ে নামেই জেরবার শাসকদল থেকে সরকারি কর্মীরা। আবাস যোজনার তালিকায় জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মুস্থুলি ও আমডাঙা গ্রামের উপভোক্তা হিসেবে পাঁঁচবার উঠে এসেছে সুদেষ্ণে রায়ের নাম। তবে পাঁচবারই সুদেষ্ণার স্বামী বা বাবার নামের বদল ঘটেছে। কখনও সুদেষ্ণার স্বামীর নাম হয়েছে গুরুপদ মাঝি, মানিক দাস। আবার কখনও বাবার নাম হয়েছে শক্তিপদ খাঁ, বিশ্বনাথ দাস।
ভূতুড়ে কাণ্ডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রকৃত উপভোক্তারা। তালিকায় স্বামী বা বাবা নাম সঠিক থাকলেও প্রাপকের নাম সেই ভূতুড়ে সুদেষ্ণা রায়। গ্রামের তৃণমূল নেতা থেকে উপভোক্তারা সাফ জানান সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও ব্যক্তি এই তল্লাটে নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির নেতা গৌতম ঘোষালেরও দাবি, সুদেষ্ণা রায় নামে কেউ নেই। দলের বদনাম করতে সরকারি কর্মীরা তালিকায় ভূতুড়ে নাম ঢুকিয়ে এই কাজ করেছেন বলেও দাবি তাঁর। দাবি করেছেন, ঘটনার তদন্ত করা হোক। এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্যের দাবি, তৃণমূল এতদিন ভূতুড়ে নাম দিয়ে টাকা তুলত। সুদেষ্ণা রায় নামে জগদানন্দপুর অঞ্চলে কেউ নেই আমরা জেনেছি। ভূত বের করতে আমরা তদন্ত চাইছি। ধরা পড়ার ভয়ে সরকারি কর্মীদের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে।
কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারিও জানিয়েছেন, সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও ব্যক্তির সন্ধান আমরা পাইনি। ভূতুড়ে নাম সরকারি কর্মীরা তোলেননি এটা নিশ্চিত। কীভাবে ভুতুড়ে নাম এল সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। আবাস যোজনা প্রকল্পের বঞ্চিত উপভোক্তারা বলছেন, আমাদের ঘরের দরকার, তালিকায় নাম ঠিকানা আছে অথচ নামের সঙ্গে আমাদের নাম মিলছে না বলে সরকারি লোকেরা আমাদের বাড়িতে আসছেন না। জগদানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় আবাসযোজনার তালিকার ভূত ছাড়াতে এখন ভরসা প্রশাসনিক তদন্ত। যার দাবি করছে সকল রাজনৈতিক দল থেকে উপভোক্তারা।