জানা গিয়েছে, দিদার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী এবং দিদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সে। তারপর সেখানে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যেই পুলিস তদন্ত করছে। মৃতদেহ রাতেই কৃষ্ণনগরে পুলিস মর্গে নিয়ে যায়। সকাল পর্যন্ত মৃতদেহ দুটি অচেনা হয়ে রাখা ছিল। পরে ধীরে ধীরে জানা যায় এই ঘটনা। দুই মৃতের নাম,সারথী হালদার (দিদা) (আনুমানিক বয়স ৬০), এবং নাতনি-রিয়া হালদার (বয়স আনুমানিক ২৫)। পুলিস ইতোমধ্যেই অভিযুক্তকে খোঁজার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দীর্ঘ ৭ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক। রয়েছে দেড় বছরের ছোট্ট একটি সন্তান। কিন্তু সুখের সংসারে নেমে এল কালো অন্ধকার। মুহূর্তের মধ্যে পালটে গেল সবকিছু। কালীপুজোয় সারাদিন উপোষ করেছিলেন স্ত্রী। রাতে অঞ্জলি দিয়ে উপোষ ভাঙার কথা ছিল তার। সেই মতন ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দিনশেষে এমন খবর আসবে ভাবতে পারেনি কেউই।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। কালীপুজোর দিন সকালে স্বামী এবং স্ত্রী'র মধ্যে হয় চরম ঝামেলা। রাগ করে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। 'অভিমানী' স্ত্রীয়ের রাগ ভাঙিয়ে সন্তান সহ বাড়ি ফেরাতে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী এবং সন্তান বাড়ি না ফেরায়, বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের চালতিয়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছরের তাদের বৈবাহিক জীবন। তাদের মধ্যে হরদম ঝামেলা হত। সেই নিয়ে নানান সমস্যা চলচিল দু'জনের। কালীপুজোর দিনও ঝগড়া করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরতে চাননি তিনি। সেই 'অভিমানে' আত্মঘাতী হন বছর ৩২'র মহাদেব হাজরা।