আবাস প্রকল্পের তালিকা খতিয়ে দেখতে নানা জেলায় যাচ্ছেন পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, সচিব পি উগলানাথনদের কাছে কয়েক জন জানান, ২০২২ সালের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। তাই তাঁরা কাঁচা বাড়ি ভেঙে ফেলেন। উপভোক্তাদের একাংশের দাবি, বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুদান মিলবে ধরেই নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে টাকা না আসায় কেউ ত্রিপলের ছাউনিতে, কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শেষে অনুদান মিলবে না ধরে নিয়েই চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে বাধ্য হন। এই ধরনের বেশির ভাগ উপভোক্তা এ বার আবাসের সমীক্ষায় ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হয়েছেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ফের জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার বার্তা দেওয়া হয়। তাতে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, যাঁরা কোনও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বা নিজের টাকায় নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে হবে। দরিদ্র উপভোক্তাদের ক্ষোভ সামলাতে বাড়িগুলি খতিয়ে দেখে বিডিও-রা ছবি ও রিপোর্ট তৈরি করে জেলায় পাঠাবেন।
পঞ্চায়েতের এক শীর্ষকর্তার দাবি, “অগ্রাধিকার তালিকার যে সব উপভোক্তা বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁদের বর্তমান অবস্থা, কী ভাবে বাড়ি করলেন, তার বিশদ নথি, আবাস যোজনার নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি হয়েছে কি না, সে সব দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”