• ৩ সাক্ষীর বিস্ফোরক গোপন জবানবন্দি, CBI-এর জালে আরও আষ্টেপিষ্টে জড়ালেন পার্থ?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • জামিন চেয়েও মিলছে না। উলটে আষ্টেপিষ্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাঁধছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৩ নভেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আর এরই মাঝে বিচারকের কাছে তিন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। উল্লেখ্য, ইডির হাতে প্রাথমিক ভাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। সে আরও ২ বছর আগে। তবে এবছর অক্টোবরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে জোরাল তথ্য প্রমাণ পেশ করতে চলেছে সিবিআই।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বান্ধবী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রথমে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ২১ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এত নগদ দেখে চোখ কপালে উঠেছিল বঙ্গবাসীর। তবে এখানেই শেষ হয়নি দুর্নীতির টাকার হিসেব।

    এদিকে পার্থ, অর্পিতার পরও এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্তীতি মামলায় রাজ্যের আরও হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জালে জড়িয়েছেন। মানিক ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ সহ একাধিক জন এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাজতে যান। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেলেও পার্থ এখনও জেলে।

    প্রসঙ্গত, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সরকরি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওপর থেকে নীচ তলা পর্যন্ত আস্ত একটা দুর্নীতির 'টাওয়ার' খাড়া করেছিলেন প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে রাজনীতিক থেকে শুরু করে আধিকারিকরা ছিলেন। তদন্তে নেমে এই সব অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডি জানিয়েছিল, এই মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া মোট ৩৬৫ কোটির সম্পত্তির মধ্যে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৩০.৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে রয়েছে মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়ের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাট, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নামে থাকা একটি প্লট, তাঁদের নামে থাকা কোম্পানির সম্পত্তি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)