সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরের জন্য নয়া নীতি আনছে রাজ্য, জানালেন বাংলার IT মন্ত্রী বাবুল
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
সেমিকন্ডাক্টর এবং গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টারের উন্নয়নের জন্য সরকার দু'টি উল্লেখযোগ্য নীতি আনতে চলেছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। নয়া নীতির মাধ্যমে এই সেক্টরগুলিকে আরও বেশি করে সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের আইটি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই নিয়ে জানান, আগামী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ববাংলা গ্লোবাল বিজনেস সামিটে এই নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মোদী-বাইডেনের সেই বৈঠকের পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, কলকাতায় নতুন একটি সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন কারখানা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আবহে রাজ্য সরকার এই সেক্টরের জন্যে নয়া নীতি ঘোষণা করতে চলেছে। যা এই রাজ্যে বাণিজ্য আনার ক্ষেত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পডুন: অভিষেকের প্রস্তাবে বদল হবে রাজ্যের একাধিক পুরসভার প্রধান, পদ যাবে ফিরহাদেরও?
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন সফরকালে কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন কারখানা তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোয়াড সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কলকাতার সম্ভাব্য সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট নিয়ে আলোচনা হয় মোদী ও বাইডেনের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, এর ফলে দুই দেশেরই কর্মসংস্থান তৈরি হবে। মোদী-বাইডেনের সেই বৈঠকের পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তা, নয়া প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ, এবং পরিবেশ-বান্ধব এনার্জির জন্য নতুন একটি সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন কারখানা গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী এবং বাইডেন। যা আধুনিক সেন্সর, যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো বিষয়ের উপরে গুরুত্ব আরোপ করবে।
জানা যায়, এই কারখানা তৈরির মূল উদ্দেশ্য ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা। ভারতের ‘সেমিকন্ডাক্টর মিশন’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কলকাতায় এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ নামক নিউ ইয়র্কের একটি বহুজাতিক সংস্থা এই কারখানা করতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ’-এর একটি কারখানা তৈরির বিষয়ে সহমত হয়েছে। জানা যায়, সেই কারখানার নাম হতে পারে ‘জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার’।