একাধিক ক্লাব কর্তা নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীর পাশে থেকে বার্তা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এনিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে নালিশও করেছেন। তবে এবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ একেবারে তালিকা নিয়ে হাজির। অতীতে কোন কোন ক্লাব কর্তা কীভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই ক্রীড়াজগতের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তারই দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ।
ময়দান রাজনীতি মুক্ত করার ডাক দেওয়া রাজনৈতিক নাটকবাজরা তালিকা দেখুন-
শচীন সেন ইস্টবেঙ্গলের সচিব।
বিধুভূষণ ঘোষ ইস্টবেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
স্নেহাংশু আচার্য ইস্টবেঙ্গলের সচিব।
মানস মুখোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল সহসভাপতি।
কলিমুদ্দিন শামস ।
সোমনাথ চ্যাটার্জি
কলিমুদ্দিন শামস
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি থেকে প্রফুল্ল প্যাটেল হয়ে আজকের বিজেপির বারবার হেরো প্রার্থী কল্যাণ চৌবে, এআইএফএফ সভাপতি।
বিভিন্ন রাজ্যে ও জাতীয় স্তরে খেলায় যুগে যুগে রাজনৈতিক যোগাযোগ চিরকালীন।
তাহলে এখন ময়দান রাজনীতিমুক্ত ডাকের আড়ালে যারা রাজনৈতিক নাটক করার চেষ্টা করছে, তারা কারা? লিখে নিন, এগুলো সিপিএমের কিছু অবসাদগ্রস্ত নাটকবাজ, সঙ্গে বিজেপির একাংশ।
তাদের নিজেদের পার্টির লোকেরা কেন ময়দানে পদে ছিল, আগে তার কৈফিয়ত দিক।
নাটক হলে যোগ্য ভাষায় জবাব যাবে।' লিখেছেন কুণাল ঘোষ।
অর্থাৎ যারা আজ ময়দানের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক বা রাজনীতিমুক্ত ময়দান গড়ার কথা বলছেন বাস্তবে তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন কীভাবে ময়দানকে রাজনীতির আঙিনায় পরিণত করেছিলেন তারই একাধিক প্রমাণ তিনি হাজির করেছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
এমনকী এর আগে তিনি লিখেছিলেন, এরা কারা? কল্যাণ চৌবে এআইএফএফ সভাপতি হয়ে বিজেপি প্রার্থী মানিকতলায় ৬২,০০০ এ লেবড়ে একসা! তখন কোথায় ছিল এসব ন্যাকামির স্লোগান। …
কার্যত আগের জমানায় ক্রীড়াঙ্গনে ঠিক কী চলতে তারই পর্দাফাঁস করেছেন কুণাল। তবে পালটা জবাবও এসেছে নেটপাড়ায়। এক নেটিজেন লিখেছেন, আপনি কখনও কি দেখেছেন মোহনবাগান সেক্রেটারি সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায় সম্পর্কে বা মহামেডান সেক্রেটারি ভোটের আগে কালিমুদ্দিন সামস সম্পর্কে বলছেন?
অপর একজন লিখেছেন, তখন বাংলার খেলাধূলার মান আর আজ কোথায়? লজ্জা থাকলে সসম্মানে পদ ছাড়ুন না হলে কাজ করুন।