কোচবিহারের সিতাইয়ের বিধায়ক ছিলেন জগদীশ। চব্বিশে লোকসভা ভোটে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অমিত শাহের 'ডেপুটি' নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে উপনির্বাচন হবে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে। কবে? ১৩ নভেম্বর। উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়।
আজ, শুক্রবার ভোটের প্রচারে কোচবিহারে সাংসদ বলেন, 'সিতাই থেকে সঙ্গীতা রায় যাতে ১৫ হাজার লিড পায়, তারজন্য যা করার দরকার, আপনার তাই করবেন। মনে রাখবে হবে, ফাঁকা মাঠে গোল, গোলটা যেন সঠিকভাবে গোল সঠিকভাবে গোল পোস্টে যায়। সেটা টিপ করে মারতে হবে। তারজন্য় যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা দরকার, সেইটাই করবেন। যদি হোমিওপ্যাথি ওষুধ দিতে হয়, হোমিওপ্যাথি দিয়ে দেবেন। যদি অ্য়ালোপথি দিতে হয়, অ্য়ালোপথি দিয়ে দেবেন। যদি সার্জারি করতে হয়, কাঁচি চালাতে হয়, তাহলে কাঁচি চালাতেও দ্বিধা করবেন না'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিতাইয়ে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর সিংহরায় বলেন, 'এর থেকে পরিষ্কার ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষের আর্শীবাদ নিতে চায় না। মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে জোর করে দখল করে নিতে চায়। কিন্তু আমরা মনে হয় না সিতাইয়ের মানুষ সেদিকে যাবে না। ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিল, হেলেন অফ ট্রয় হওয়ার সম্ভাবনা একশোভাগ'।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মতে, 'যাঁরা এই ধরনের হিংসাত্বক বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছে, তাঁদের অবিলম্বের গ্রেফতার করা উচিত।কোনও নির্বাচনে প্রচারের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া উচিত'। তাঁর মতে, 'তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। তৃণমূল জিততে পারবে না, সেকারণেই হিংসা আশ্রয় নিতে হচ্ছে'।
এর আগে, সিতাইয়ে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার 'নিদান' দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ জগদীশ। বলেছিলেন, 'যে বুথ থেকে তিনি প্রার্থী, যে বুথে তাঁর ভোট, সেই বুথ থেকে দীপক রায় কোনওদিন জেতেননি। এবার জিতবে না, সেটা সিওর। শুধু জিতবেন না নয়, সেই বুথে যেন তাঁর পোলিং এজেন্ট না দেয়, এমন ব্য়বস্থা আমাদের করতে হবে'। উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী দীপক রায়।