কলকাতার মেয়র, সঙ্গে একাধিক দফতরের মন্ত্রীও। সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। কবে? ২০১৮ সালে। কিন্তু গেরুয়াশিবিরে মানিয়ে নিতে পারেননি প্রাক্তন তৃণমূল। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এখন সক্রিয় রাজনীতিতে নেই শোভন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই শোভনের তৃণমূলের ফেরার নিয়ে জল্পনা চলছে। সম্প্রতি আবার বৈশাখীকে সঙ্গে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতেও গিয়েছিলেন। জি ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাত্কারে শোভন বলেন, 'মমতাদি যদি বলেন, এখনও ডোরিনা ক্রসিংয়ে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। অনেকে পিছিয়ে যাবে, আমি কিন্তু করতে পারি আর না পারি, চেষ্টা করতে এগিয়ে যাব। আজও মমতাদি যখন কিছু করেন, মনটা সেদিকে থাকে। মমতাদির কোনও ইঙ্গিত করলে সেটা পালন করাটা আমার প্রথম এবং শেষকাজ'।
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের জবাব, 'অভিষেক তো আমি ছোট্টবেলা থেকে..ছোটবেলা কেন বলব, জন্ম থেকে বড় হতে দেখেছি। সেই অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্কটা আলাদা হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। অভিষেককে নিয়ে কেউ মনগড়া কথা বললে আমি দুঃখিত। অভিষেকের কোনও পরামর্শ লাগলে দুশো ভাগ দিতে বাধ্য়। অভিষেককে মেনে নেওয়া নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই'।
এদিকে তৃণমূলের থাকার সমযে কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন শোভন, সেই বেহালা পূর্বের বিধায়ক এখন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, যদি দল সিদ্ধান্ত নেয়, শোভন চট্টোরপাধ্যয়কে দলে নেবে, তো নেবে আমার কিছু বলার নেই। মমতাদি বলা সত্ত্বেও বিজেপি চলে গিয়েছিলেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। সেখানে কুল পাননি বলে আমার ফিরে এসেছেন। যদি দল নেয়, আমার কিছু বলার নেই'।