অর্ণব দাস, বারাকপুর: ময়দায়ের তিনটি প্রধান ক্লাবের শীর্ষ কর্তা-সহ আইএফএ প্রধানের নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে ক্লাবগুলোকে ব্যান করার মত বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পালটা কল্যাণ চৌবের বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তাঁকে ব্যান করার দাবি তুললেন মন্ত্রী হিরহাদ হাকিম। শুক্রবার নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীর সনৎ দের সমর্থনে পাল্লাদহ, শিবদাসপুর, নয়াবাজারে তিনটি সভা করেন ফিরহাদ। পাল্লাদহের সভাতে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান ক্লাবকে ব্যান করার প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হন তিনি।
সভায় ফিরহাদ বলেন, “তিনটে ক্লাবের কর্তা-সহ আইএফএ সচিব বলেছেন, সনৎ দে খেলার মাঠের দক্ষ সংগঠক। ওনারা কি ভুল বলেছেন! আমি হলফ করে বলতে পারি নৈহাটি স্টেডিয়াম কলকাতার স্টেডিয়ামের সমতুল্য তৈরি হয়েছে। সনতের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতার সব ফুটবল ক্লাব এসে প্র্যাক্টিস করে। এটা নৈহাটিবাসীর কাছে গর্ব। আর বিজেপি বলছে ক্লাবগুলোকে ব্যান করে দেওয়া উচিত। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান আমাদের রক্তে আছে। হিম্মত থাকলে ব্যান করে দেখাক।” একইসঙ্গে এআইএফএফ-এর প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের মানিকতলা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, “কল্যাণ চৌবে এআইএফএফ-এর প্রেসিডেন্ট। তবুও বিজেপির প্রার্থী হয়ে উনি সাধনদার কাছে ভোটে হেরেছিলেন। কিছুদিন আগে সুপ্তি পাণ্ডের কাছেও বিপুল মার্জিনে হেরেছেন। ক্লাব কর্তারা সনতের হয়ে ভোট চায়নি, বলেছেন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠন। এর পরেও যদি ক্লাবকে ব্যান করার কথা বলা হয়, তাহলে কল্যান চৌবেকে ব্যান করা হবে না কেন?”
উপনির্বাচনের নৈহাটিতে সিপিআই(এমএল)-এর প্রার্থী দেওয়া নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি ফিরহাদ। একইসঙ্গে ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে অর্জুন সিংয়ের সন্ত্রাসও মনে করিয়ে দেন কলকাতার মেয়র। উপনির্বাচনে বিজেপি-সহ অন্যান্য দল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপির ভোট শতাংশ বাড়ানোর চেষ্টায় নেমেছে বাম-কংগ্রেস। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে আইএসএফকেও প্রার্থী করা হচ্ছে।” তবে, কোভিডকালে মানুষের সেবা থেকে খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি-সহ বিপদে সবসময় মানুষের পাশে থাকা সনৎ দেকে মানুষ ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী করবেন বলেই এদিন আশা প্রকাশ করে ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ডের পরপর হওয়া উপনির্বাচনে বাংলার মানুষ কি করে সেটা দেখার জন্য সকলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই কলকাতা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। সিবিআই নতুন করে কিছু করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম আমাদের রাজ্য এনিয়ে অপরাজিতা বিল পাশ করেছেন। আমরা চাই নারী সুরক্ষায় দেশে তথা অন্যান্য রাজ্যেও এই বিল আসুক।”