রাজা দাস, বালুরঘাট: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হয়েছিল শিক্ষকের দেহ। সুদের কারবারিদের ‘ষড়যন্ত্রে’ ওই শিক্ষককে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি তুলেছিল পরিবার। তা শনাক্ত করার পর শুক্রবার অবশেষে তাঁর দেহ হস্তান্তর করা হল। এদিন বিজিবি ও বিএসএফের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। ভাতশালার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এর পরেই বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী মৃতদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফকে। বালুরঘাট থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে বালুরঘাট থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও আগে বাংলাদেশে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি পরিবার ও পুলিশের হাতে।
মৃত শিক্ষকের নাম সুকান্ত চক্রবর্তী। বালুরঘাট শহরের পাওয়ার হাউস এলাকার বাসিন্দা বছর চল্লিশের প্রাথমিক শিক্ষক গত সোমবার সকাল থেকে নিঁখোজ ছিলেন। বাজারে যাচ্ছেন, জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্ত তিনদিন ধরে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের তরফে ইতিমধ্যে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় বালুরঘাট থানায়। শুভাকাঙ্ক্ষীরা ওই শিক্ষকের নিখোঁজ বার্তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাঙ্গি ভাতশালার শূন্য রেখা অতিক্রম করা দেহটি উদ্ধার করেছিল বিজিবি।
দেহ শনাক্ত করে পরিবার অভিযোগ করে, দেনার দায়ে সুদ কারবারিদের কাছে গিয়েছিলেন সুকান্ত। তাঁর মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অবৈধ সুদ ব্যবসায়ীদের ষড়যন্ত্র। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার অরিজিৎ মহন্ত জানান, মাথায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। খুন করে দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় এভাবে শিক্ষকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য ঘনিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই কারণ স্পষ্ট হবে।