• ১২০ কোটির দুর্নীতি? মালবাজারের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের আর্জি খারিজ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
  • মালবাজার পুরসভার প্রধান স্বপন সাহার বিরুদ্ধে আবাস সহ একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনটাই দাবি করেছেন পুরপ্রধান স্বপন সাহার আইনজীবী। একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে করা অডিট তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।

    দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই স্বপন সাহাকে সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের পরে পুনরায় দলে ফেরার জন্য আবেদন জানান স্বপন সাহা। একই সঙ্গে এই নির্দেশের পর পুর প্রধানের অনুগামীদের মধ্যে উল্লাস দেখা দেয়।প্রসঙ্গত, স্বপন সাহার বিরুদ্ধে আবাস প্রকল্প সহ একাধিক ক্ষেত্রে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই স্বপন সাহাকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর তিনি পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তিনি ছুটিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপির মালবাজার টাউন মণ্ডল সহ সভাপতি তথা আইনজীবী সুমন শিখদার। 

    স্বপন সাহার আইনজীবী দাবি করেন, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নথি জাল করে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা খতিয়ে দেখার পর সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করেছে। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে জানানো হয় এবিষয়ে অডিট করা হচ্ছে। সেই অডিট ঠিকঠাক হচ্ছে কি না তা দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।

    অন্যদিকে, সুমন শিকদার পালটা দাবি, তাঁর মামলা আদালত খারিজ করেনি। সংশ্লিষ্ট দফতরকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সেই তদন্ত মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

    স্বপন সাহা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছিল। চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই অভিযোগ ওঠার পরেই তিনি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন। তবে আদালতের নির্দেশে প্রমাণিত হল সেই অভিযোগ মিথ্যে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন। যদিও এবিষয়ে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)