নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বিরল প্রজাতির স্যান্ড স্নেকের দেখা মিলল বাংলায়। ফরাক্কার ২ নম্বর নিশিন্দা কলোনিতে একটি বাড়ির উঠোনে মাটির গর্তে ওই সাপ দেখা যায়। হলদেটে রঙের স্বল্প দৈর্ঘ্যের সাপটি দেখে স্থানীয়রা অবাক হয়ে যান। স্থানীয় এক সর্পবিশারদ সাপটি উদ্ধার করেন। পরে একাধিক সর্প বিশারদের সাহায্য নিয়ে, ‘স্কেল কাউন্ট’ করে সাপটির প্রকৃত পরিচয় জানা যায়। এই সাপের বিজ্ঞানসম্মত নাম, স্যামোফিস কণ্ডনারোস। যাকে অনেকেই স্যান্ড স্নেক বলে ডাকেন। সামান্য বিষধর হলেও এই সাপ মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
এই সাপ খুবই বিরল প্রজাতির। ১৭৯৬ সালে শেষবারের মতো অবিভক্ত বাংলায়, ওড়িশার গঞ্জাম জেলা থেকে এই সাপ উদ্ধার হয়েছিল। তবে দেশের নানা প্রান্তে এই সাপের দেখা কখনও কখনও মেলে। এর আগে তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানায় এই সাপের দেখা মিললেও পশ্চিমবঙ্গে এর দেখা মিলত না। ২০১৭ সাল নাগাদ ফরাক্কা থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশে পদ্মা নদীর তীরে এই সাপ পাওয়া গিয়েছিল। এরাজ্যে দেখা না যাওয়ায় জুওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কলকাতা শাখার কাছেও এই সাপের কোনও স্যাম্পেল নেই।
ফরাক্কার শিক্ষক তথা সর্পবিশারদ প্রলয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, অবিভক্ত বাংলার ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় ১৭৯৬ সালে এই সাপ শেষবারের মতো পাওয়া গিয়েছিল। সাপটির পেটের তলায় হলুদ-সাদা ও গায়ের উপর বাদামি রঙের দাগ রয়েছে।