সংবাদদাতা, বর্ধমান: আউশগ্রাম থানার গুসকরার সংহতি ক্লাব এলাকায় পেনশনের টাকা না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক বৃদ্ধ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম দীপক কুমার(৬০)। তিনি মধ্যপ্রদেশের কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাদের রেলিংয়ে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি গামছা কেটে নামিয়ে তাঁকে গুসকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তারপর পেনশন পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়ে দরবার করেছেন। চিঠিপত্রও করেছেন। অফিসে ফোনও করেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তাঁর পেনশন চালু হয়নি। মৃতের ছেলে বলেন, বাবার পেনশন এখনও চালু হয়নি। পেনশন চালু না হওয়ায় বাবা খুব চিন্তিত ছিলেন। পেনশন চালু না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন।
যুবকের মৃত্যু: আউশগ্রাম থানার গুসকরার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম তাপস রবিদাস(২৬)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
বধূর মৃত্যু: দেওয়ানদিঘি থানার রায়পুরে কীটনাশক খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম ফুলমণি সিংহ(১৯)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি মারা যান। সাংসারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু: বর্ধমান থানার ফাগুপুরে জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তাঁর দুই সঙ্গীও। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।