নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: পরিবার নিয়ে এবার ফেরার পালা। আবহাওয়ায় শীতের আভাস। তাই ধীরে ধীরে কুলিক ছাড়া শুরু করল পক্ষীনিবাসের পরিযায়ীরা। বিশেষত নাইট হেরন, গ্লসি আইবিস প্রজাতিগুলি আগে যাওয়া শুরু করেছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। বিষয়টি খেয়াল করেছে রায়গঞ্জের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলিও ।
প্রতি বছর জুন মাসে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি উড়ে আসে এশিয়ার সর্ববৃহৎ পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত কুলিকে। নদীর ধারে বৃহৎ এই পক্ষী অভয়ারণ্যে প্রকৃতির মাঝে তারা বাসা বাঁধে। মূলত ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, ইগ্রেটস, লিটল কর্মর্যান্ট প্রজাতির পাখি আসে। তবে এবার এদের সঙ্গে নতুন অতিথি হিসেবে ছিল গ্লসি আইবিস নামে আরও এক প্রজাতির পাখির। পরিযায়ীদের আসার উদ্দেশ্য হল প্রজননের মাধ্যমে ডিম ফুটিয়ে শাবকের জন্ম দেওয়া। মাঝের সময়টা পাখির কলতানে ভরে ওঠে পক্ষীনিবাস ও সংলগ্ন চত্বর। এর মাঝেই শাবকদের উড়তে শেখানো, বড় করে তোলার মতো প্রক্রিয়া চলতে থাকে টানা ছ-সাত মাস ধরে। এরপর শীতের শুরুতে ধীরে ধীরে বাসা বদল করে পরিযায়ীরা ফিরে যায়।
বনদপ্তরের রায়গঞ্জের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মার কথায়, নভেম্বরের মাঝামাঝি পরিযায়ীর দল ফিরে যায় নতুন জায়গায়। এবার মরশুমের শুরুতে আসা একাংশ পাখি যাওয়া শুরু করেছে। এরা আবার ফিরবে আগামী বছর জুন-জুলাই মাসে। তবে বেশিরভাগ পাখি পক্ষীনিবাসে থাকবে আরও কয়েক সপ্তাহ।
উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালসের অন্যতম সদস্য গৌতম তান্তিয়া বলেন, ফি বছর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে থেকে পাখি চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু তারও সপ্তাহখানেক আগে কিছু পাখি উড়ে যাওয়া শুরু করে। এবারও ধীরে ধীরে দু’একটি প্রজাতি যাওয়া শুরু করেছে।
কুলিকের মূল আকর্ষণ ওপেন বিল স্টর্ক এখনও থাকলেও নাইট হেরন, গ্লসি আইবিস প্রজাতির পাখির উড়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যও একই কথা জানান।