• পাঁচ কেজি ওজনের কদমা, বিহার থেকে আসবে প্যাড়া, বোল্লাকালী পুজো ঘিরে বাড়তি আয়োজন
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বোল্লাকালী পুজো উপলক্ষ্যে গঙ্গারামপুর শহরে মিষ্টি ভোগ তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। ২২ নভেম্বর পূজিত হবেন মা বোল্লাকালী। সেখানে ভোগ মানেই বাতাসা, খাগড়া, কদমা ও রকমারি ছাঁচের তৈরি চিনির মিষ্টি। গঙ্গারামপুর শহরের পিডব্লুডি পাড়া এলাকায় বড় বড় কারখানায় ভোগ তৈরি প্যাকিংয়ের কাজ চলছে জোরকদমে।


    গঙ্গারামপুরের মিষ্টি ভোগ প্রস্তুতকারকরা সারা বছর যে পরিমাণ বাতাসা, কদমা ও খাগড়া তৈরি করেন, বোল্লা পুজোর রাতে তার থেকেও বেশি ভোগ বিক্রি হয়। গঙ্গারামপুরের জিৎ সরকার, বিজয় কর্মকার, সন্তু সরকার সারা বছর ভিনরাজ্যে কাজ করলেও পুজোর এই সময় ঠিক ফিরে আসেন বাড়তি রোজগারের আশায়। গঙ্গারামপুরের ভোগ প্রস্তুতকারকরা এবার প্রায় ৫০ কুইটাল  মিষ্টি ভোগ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। 


    তাছাড়া বিহার থেকে ভোগ প্রস্তুতকারকরা প্যাড়া নিয়ে এসে পুজোর পাঁচদিন আগে বিক্রি করে যাবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে। বোল্লাকালীর কাছে অনেকেই হাতের কদমা মানত করে থাকেন। সেজন্য গঙ্গারামপুরের ভোগ প্রস্তুতকারকেরা সোয়া কেজি থেকে শুরু করে ৫ কেজির কদমা তৈরি রাখছেন। সেগুলি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হবে।


    গঙ্গারামপুরের মিষ্টিভোগ প্রস্তুতকারী কল্যাণ কুন্ডু বলেন, অভিজ্ঞ শ্রমিক না পাওয়ায় বেশি ভোগ তৈরি করা যায় না। ১০ জন শ্রমিক নিয়ে ভাইফোঁটার পরের দিন থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ভোগ পুজোর দিন শেষ হয়ে যাবে। মানতের কদমা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। বিহার থেকেও প্যাড়া আসবে পুজোর কয়েকদিন আগে।


    শ্রমিক বিজয় কর্মকারের মন্তব্য, ছোট থেকে মিষ্টির ভোগ তৈরির কারখানায় কাজ দেখতে দেখতে শিখে গিয়েছি। মায়ের পুজো এলেই বাড়তি উপার্জন হয়। তাই সারা বছর যেখানেই কাজ করি না কেন, পুজোর সময় চলে আসি শহরের কারখানায়। এবারও মায়ের আবির্ভাবে মেলায় ভালো আয় হবে।   


    বিহার থেকে অস্ত্র পাচার করতে এসে পুলিসের জালে


    নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: বিহার থেকে অস্ত্র পাচার করতে এসে পুলিসের জালে মুঙ্গেরের বাসিন্দা। উদ্ধার ঝাঁ চকচকে ৩ টি নতুন সেভেন এমএম পিস্তল। ধৃতের নাম মহম্মদ মতিউর রহমান। তার সঙ্গে মহম্মদ সইফুদ্দিন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানা এলাকার ছোট মহদিপুরে। মালদহ জেলা পুলিসের এক আধিকারিক জানান, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 


    জলপথে বিহার থেকে মালদহে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার নিয়ে কিছুদিন আগে খবর প্রকাশিত হয় ‘বর্তমান’-এ। মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দু’জন গ্রেপ্তার হওয়ায় সেই তত্ত্বকে জোরালো করেছে। শুক্রবার  ধৃতদের মালদহ সিজেএম কোর্টে পেশ করে পাঁচদিনের হেফাজতে নেয় পুলিস। কোন রুট ব্যবহার করে তিনটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল মালদহে আনা হল? এই পিস্তলগুলি কতজনের কাছে সাপ্লাই করার কথা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। 


    বৃহস্পতিবার রাতে পুলিস গোপন সূত্রে অস্ত্র পাচারের কথা জানতে পারে। সেই মতো সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে অপারেশনে নামে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। বৈষ্ণবনগর-ফরাক্কা জাতীয় সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়। সজাগ করা হয় প্রত্যেক নাকা চেকিং পয়েন্টে। 


    শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ১৮ মাইল ও টোলপ্লাজার মাঝামাঝি জায়গায় দুই ব্যক্তির চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই দুই ব্যক্তিকে দাঁড়াতে বললেও তারা এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর পুলিস তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। ধৃতদের কাছে নাম ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে তারা অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। পুলিস তল্লাশি শুরু করতেই তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল উদ্ধার হয়।


    শুক্রবার বুনিয়াদপুর শহরের রেলস্টেশন মাঠে বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজো উপলক্ষ্যে খুঁটিপুজো করে প্যান্ডেলের কাজ শুরু হল। বোল্লাকালী পুজোর রাতে বুনিয়াদপুরে ছোট বোল্লা পুজো করে আসছেন উদ্যোক্তারা।  তান্ত্রিক ও বৈষ্ণব মতে পুজো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)