নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পথ দুর্ঘটনা অব্যাহত শিলিগুড়িতে। ২৪ ঘণ্টায় পৃথক তিনটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক। আহত তিনজন। ঘটনাগুলির পর ট্রাফিক পুলিসের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, ট্রাফিক আইন এবং সেভ ড্রাইভ ও সেফ লাইফ কর্মসূচি নিয়ে পুলিসের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলিস অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ট্রাফিক আইন এবং সেভ ড্রাইভ ও সেফ লাইফ কর্মসূচি নিয়ে নিয়মিত প্রচার অভিযান চলছে। কাজেই পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ওই পথ দুর্ঘটনাগুলির কারণ খতিয়ে দেখা হবে। তবে ট্রাফিক আইন অনুসারে নিয়তিম ধরপাকড় অভিযান চলছে। সেভ ড্রাইভ ও সেফ লাইফ কর্মসূচি নিয়েও নিয়মিত প্রচার অভিযান চলছে। কাজেই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে শুধু ট্রাফিক পুলিসের ঘাড়ে দোষ চাপালে চলবে না। পথচারী, বাইক আরোহী ও গাড়ি চালকদেরও এব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোরের আলো থানার মিলন মোড়ের কাছে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তাঁর নাম কমল পাল (৫৮)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তাঁর বাড়ি। তিনি এখানে একটি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার কর্মী ছিলেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলন মোড়ের কাছে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেসময় তাঁকে ধাক্কা মারে পালিয়ে যায় একটি গাড়ি। এলাকায় এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চলছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড়ের কাছে একটি পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা মারে মুরগি বোঝাই একটি ছোটগাড়ি। এই ঘটনায় মুরগি বোঝাই গাড়ির চালক ও খালাসি গুরুতর জখম হন। পুলিস ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির দরজা ভেঙে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস গাড়ি দু’টি আটক করেছে। শুক্রবার দুপুরে ওল্ড মাটিগাড়া রোডের মাটিগাড়ার চামটা সেতুর কাছে চলন্ত বাইক থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন এক যুবতী। স্থানীয় সূত্রের খবর, চলন্ত বাইক থেকে শূন্যে ডিগবাজি খেয়ে রাস্তায় পড়েন ওই যুবতী।