• সপ্তমীতেই তুমুল ভিড় চন্দননগরে, স্টেশন-ফেরিঘাটে কার্যত জনজোয়ার
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: সপ্তমীর রাতেই ভিড় আছড়ে পড়ল চন্দননগরের অলিতে গলিতে। বিকেল গড়াতেই শুক্রবার চন্দননগর থেকে মানকুন্ডু হয়ে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত  রাস্তার দখল চলে গিয়েছিল পুজো দেখতে আসা ভিড়ের হাতে। চন্দননগরের মোহময় আলোয় সাজানো রাস্তাঘাট জুড়ে শুধু দেখা গিয়েছে মানুষের মাথার সারি। ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু, চন্দননগর স্টেশনে ছিল থিকথিকে ভিড়। জেলা তো বটেই,  জেলার বাইরে থেকেও শুক্রবার মানুষ এসেছিলেন চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে। শুধু উৎসাহী তরুণ প্রজন্ম তো বটেই  ভিড় জমিয়েছিলেন মধ্যবয়সি থেকে প্রবীণ মানুষও। রাত যত বেড়েছে তত বেড়েছে আলোর জৌলুস আর পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়। 


     ষষ্ঠীর রাতেই প্রবল ভিড় দেখা গিয়েছিল চন্দননগর, ভদ্রেশ্বরের রাস্তাঘাটে।  সপ্তাহ শেষের মুখে শুক্রবারে সেই ভিড়ই নিয়েছিল জনজোয়ারের আকার।  সন্ধে ছটায় চুঁচুড়া থেকে চন্দননগর স্টেশনে নেমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দ নিতে আশা গোপাল দাস। গোটা স্টেশন রোড তখন ভিড়ে থইথই করছে। রাস্তা তো বটেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আমোদে মানুষের দখলে চলে গিয়েছিল ফুটপাতও। 


    চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে গোপাল বলছিলেন, জানতাম ভিড় হবে। কিন্তু ভিড় যে এত হবে ভাবিনি! সপ্তমীর সন্ধ্যায় এমন জনসমুদ্র অনেকদিন দেখিনি।


    অনেকটা একই মত কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউয়ের। তিনি বলেন, পুজোর মধ্যে শুক্রবারে ভিড় হয় বটে, কিন্তু সেই ভিড় মূলত দেখা যায় রাত বাড়লে। আসলে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুজোর জনপ্রিয়তা।  বাইরে থেকেও দিন অসংখ্য মানুষ এসেছিলেন। তাই ফেরিঘাটেও ব‍্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে।


    উৎসাহী দর্শকের আগ্রহের তালিকায় থিম পুজো থেকে সাবেক পুজো,  সবই ছিল। তাই চন্দননগর স্টেশন সংলগ্ন একাধিক পুজো মণ্ডপে যেমন উথাল-পাথাল ভিড় দেখা গিয়েছে, তেমনি জনজোয়ার ছিল তেঁতুলতলার সাবেক পুজো মণ্ডপে। ইতিহাস ছুঁয়ে থাকা চাউলপট্টির মণ্ডপে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। তেমনই উর্দিবাজার থেকে বেশঝহাটার থিমের মণ্ডপে জোয়ারের  জলের মতো  দর্শক গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই হালকা শীতের আমেজ লেগেছে শহরে।  গঙ্গাপাড়ের সাবেক শহরে এমনিতেই সন্ধ্যার পরে মনোরম আবহাওয়া থাকে। কিন্তু তার মধ্যেও ভিড় সামলাতে গলদঘর্ম হয়েছেন ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক থেকে পুলিস কর্মীরা।  উৎসবের শহরে ভোররাত পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়িয়েছে জনগর্জন। 
  • Link to this news (বর্তমান)