• আলোর দিশা থেকে থাইল্যান্ডের মন্দির, থিমের লড়াই অশোকনগরে
    বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কোনও পুজোর থিম, ‘আলোর দিশা’। কেউ বানিয়েছেন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। কোনও পুজো করেছে থাইল্যান্ডের কৃষ্ণমন্দির। অশোকনগরের হরিপুর মোড় থেকে দেবীনগর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা। সেখানে বিগ বাজেটের একাধিক পুজো হয়। তা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় অশোকনগরে। আজ, শনিবার বেশিরভাগ পুজোর উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। থিম ভাবনা থেকে আলোকসজ্জা, মণ্ডপ থেকে প্রতিমায় একে অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত কমিটিগুলি।


    অশোকনগরের ভাতৃ সঙ্ঘের পুজো এবার ৩০ বছরে পড়ল। তাদেরই থিম, ‘আলোর দিশা’। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে সুতো দিয়ে। সঙ্গে বাহারি আলোর সাজ। সমাজের যা কিছু পাপ, অন্যায়, অন্ধকার রয়েছে, সেসব কাটিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আলোর দিশায় ফেরানোর বার্তা দিতে চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। সম্পাদক সুরজ দে বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের থিমে চমক থাকে। এবারও থাকছে। তাছাড়া প্যান্ডেলজুড়ে থাকবে আলোর কাজ। দিনের বেলায় মণ্ডপ একরকম দেখতে লাগবে। রাতে রূপ সম্পূর্ণ বদলে যাবে। থাকছে প্রতিমাতেও চমক।’ রামকৃষ্ণ সেবা সমিতি বরাবর নজরকাড়া মণ্ডপ উপহার দেয় দর্শনার্থীদের। ৩২ বছরে পা দিন তাদের পুজো। এবারের আকর্ষণ থাইল্যান্ডের কৃষ্ণমন্দির। বিরাট মাঠে প্রায় ১০০ ফুট উচ্চতার কৃষ্ণ মন্দির তৈরি হয়েছে। মণ্ডপজুড়ে থার্মোকলের কাজ। প্রতিমা এখানে সাবেক ঢঙের। সঙ্গে রাস্তাজুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। মাঠের একপাশে হবে মেলা। উদ্যোক্তা বাপি গাছা বলেন, ‘থাইল্যান্ডে গিয়ে কৃষ্ণমন্দির দেখা অনেকের পক্ষেই হয় না। তাঁদের কথা ভেবেই এই ভাবনা। প্যান্ডেলজুড়ে শোলার কাজ। থাকবে আলোর কারসাজি।’ 


    দেবীনগর অধিবাসীবৃন্দের পূজো এবার ১৩ বছরে পড়ল। বিশ্বের সবথেকে উঁচু বাড়ি হল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। এর আগে কলকাতা ও কল্যাণীতে বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ দেখেছে মানুষ। এবার দেবীনগর তা বানিয়েছে। মণ্ডপের উচ্চতা ৯৭ ফুট। চওড়া ৪০। আলোর অভিনবত্বেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে মণ্ডপ। নটরাজ মূর্তির আদলে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। সম্পাদক সঞ্জয় রাহা বলেন, ‘আরবের বুর্জ খলিফার আলাদা আভিজাত্য। আমরা তা তৈরি করে মানুষকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি। কল্যাণীতে যিনি আলোকসজ্জা করে তাক লাগিয়েছিলেন, তিনি এবার এই পুজোর দায়িত্বে। 
  • Link to this news (বর্তমান)