মেট্রোয় মরণঝাঁপ তরুণের, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটে এক ঘণ্টা ব্যাহত পরিষেবা
বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মেট্রো লাইনে ফের আত্মহত্যার ঘটনা। যার জেরে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটে ছেদ পড়ে পরিষেবায়। ফলে শুক্রবার একাধিক বেসরকারি স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া ও অভিভাবকরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এদিন বেলা পৌঁনে ১টা নাগাদ শোভাবাজার-সুতানুটি মেট্রো স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বছর তিরিশের ওই যুবক টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে হাজির হয়েছিলেন। তখন কবি সুভাষগামী একটি মেট্রো ঢুকছিল। সল্টলেকের বাসিন্দা ওই তরুণ সেই সময় আচমকা মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দেন। গতি বেশি থাকায় মেট্রোর চাকায় তাঁর দেহ কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তারপর শহরের লাইফলাইন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। স্টেশন মাস্টারের অফিসের মাধ্যমে খবর পৌঁছয় কন্ট্রোল রুমে। দ্রুত বিদ্যুৎবাহী থার্ড লাইনের পাওয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে মেট্রো রেকগুলি বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল কিংবা কলেজ ফেরত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক। তাঁদের অভিযোগ, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে এই দুর্ঘটনার কথা দীর্ঘক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। বিভিন্ন স্টেশনে মেট্রোর দরজা খোলা থাকে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় ঘণ্টাখানেক এই যন্ত্রণা সইতে হয়েছে। যদিও মেট্রোর দাবি, থার্ড লাইনে পাওয়ার বন্ধ করার পর কর্মীরা ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করেন। সেই সময় কবি সুভাষ থেকে সেন্ট্রাল এবং দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে বিক্ষিপ্ত পরিষেবা চালু ছিল। দুপুর ১টা ৩২ মিনিট নাগাদ গোটা রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া তরুণকে স্থানীয় আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।