মেয়াদ ফুরোলেও পদে বহাল সভাপতি, বিজেপি নেতারা মজে ডোনাল্ড ট্রাম্পে!
বর্তমান | ০৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’মাস হতে চলল, আটকে রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি পদে নয়া নিয়োগ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব আপাতত মেতে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাজ্য বিজেপি নেতারা কার্যত উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট থেকে ডিপি কিংবা স্টেটাসে ট্রাম্পের ছবি দিয়ে চলছে ‘সেলিব্রেশন’। এসবের মধ্যে বিজেপি নেতারা যেন দীর্ঘদিন ফাঁকা পড়ে থাকা সাংগঠনিক পদ পূরণের বিষয়ে ভাবার সময়ই পাচ্ছেন না! দলের অন্দরেই এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিজেপির এক আদি নেতার কথায়, ‘আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে এখন দেখছি ব্যস্ততা তুঙ্গে। অথচ গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের। উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ায় দ্বিতীয়বারের জন্য প্রদেশ সভাপতি হতে পারবেন না। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি অনুযায়ী পার্টিতে এটাই নিয়ম।’
তিনি আরও জানান, রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ করেছেন জগতপ্রকাশ নাড্ডা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দলের সভাপতি পদে এখন ‘এক্সট্রা ইনিংস’ চলছে। সেখানেও নতুন মুখ আসতে চলেছে। আসলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরবর্তী সর্বভারতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি নিয়ে দ্বিধায় ভুগছে। কারণ, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সঙ্ঘের ছাড়পত্র ছাড়া দলের সর্বভারতীয় কিংবা প্রদেশ সভাপতি চয়ন হয় না। দু’টি ক্ষেত্রেই বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতপার্থক্য চলছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সুকান্তবাবুর নেতৃত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট নন মোদি-শাহরা। বিধানসভা পরবর্তী সমস্ত উপ নির্বাচন কিংবা লোকসভা ভোটে খারাপ ফল করেছে বিজেপি। আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। সেখানেও ধারেভারে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে বলে পদ্ম শিবিরের প্রাথমিক মূল্যায়ন। সেই সূত্রেই ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে দক্ষ ও সুযোগ্য রাজ্য সভাপতি খুঁজছেন দিল্লির নেতারা। প্রথম দিকে মহিলা রাজ্য সভানেত্রী করার পক্ষে একাধিক মহল থেকে সুপারিশ গিয়েছিল। কিন্তু দলের বিভিন্ন স্তর থেকে তা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। তখন ফের নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয় প্রদেশ সভাপতি পদে পরবর্তী নেতার নাম নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ঐকমত্যে পোঁছনো যায়নি বলেই খবর। একইভাবে দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির নামও কার্যত ঝুলে রয়েছে।