ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। এবার হাওড়ার নলপুরের লাইনচ্যুত ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস। শনিবার ভোরে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে আসার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। তবে সাতসকালে দুর্ঘটনার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ জানিয়েছেন, যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২২৮৫০ সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের একটি পার্সেল ভ্যান ও দুটি বগি খড়গপুর ডিভিশনের নলপুর স্টেশন দিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয়। বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে ট্রেনটি। ঘুমন্ত যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন অনেকে। ট্রেন যে লাইনে যাওয়ার কথা ছিল, তার পাশের লাইনে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটির গতি কম থাকার বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সকলেই নিরাপদে আছেন। স্থানীয়রা এসে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেন। কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পরেই আপ এবং ডাউন দু’দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই দ্রুত দুর্ঘটনাগ্রস্ত টেনের যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এরপর গাড়ির ব্যবস্থা করে মুম্বই রোডে পাঠানো হয় তাঁদের। সেখান থেকে যে যার গন্তব্যস্থলে চলে যান। সাঁতরাগাছি ও খড়গপুর থেকে রিলিফ ট্রেন এবং চিকিৎসা সহায়তা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেলের তরফে বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিডল লাইন থেকে ডাউন লাইনে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয়। একটি পার্সেল ভ্যান ও দুটি যাত্রীবাহী বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের যাত্রার জন্য ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাঁতরাগাছি এবং খড়গপুর থেকে সহায়ক ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।