আর তারপরে খড়্গপুর ডিভিশনের খরগোপুর স্টেশন এ যাত্রীদের ভুক্ত হচ্ছে ভোগান্তিতে। দুর্ঘটনার ফলে একাধিক রেলের টাইমে পরিবর্তন করা হয় রেলের তরফে। তবে সঠিকভাবে কোনও ইনফরমেশন না দেওয়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা। খরগোপুরে বিভিন্ন রুটে একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যে। রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে কোনও তথ্য পাচ্ছে না যাত্রীরা। পাশাপাশি টিকিট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। আর তাতে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন যাত্রীরা।রেলের তরফে ইতোমধ্যে যেটা জানা যাচ্ছে রানী সিরোমনী এক্সপ্রেস,জলেশ্বর -হাওড়া, মেদিনীপুর- হাওড়া লোকল খড়পুর -হাওড়া লোকাল এগুলো এখনও পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে রেলের তরফে। তবে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে।
এখন জানা যাচ্ছে, সকাল ৬টা থেকে লাগাতার সাড়ে এগারোটা অবধি প্রতীক্ষারত ট্রেন যাত্রীরা শেষমেষ যাত্রীদের তাদের গন্তব্যস্থল নিয়ে যেতে রেলের তরফ থেকে দেওয়া হল বাস। আর সেই বাসে উঠতে যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গেল খড়্গপুর স্টেশনে বাইরে। তার কারণ প্রথমে একটি বাস দেওয়া হয়েছিল তাতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বচসা শুরু করে দেয় রেল পুলিসের সামনে এরপর খড়গপুর স্টেশন বাস আসা শুরু হয়েছে পরে দূরপাল্লার যাত্রীদের তাদের পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে খড়গপুর ডিভিশন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ভোরে নলপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনটি প্রচণ্ড আওয়াজ করে কেঁপে ওঠে। সেই সময় ট্রেনের গতি অনেক কম ছিল। ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। গত পরশু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনের সময় ট্রেন দুর্ঘটনা বিষয়ে সরব হয়েছিলেন, রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শনিবারই রাজ্য ফের এই দুর্ঘটনা যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রাজ্যকে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তে রেল।