বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই দুই নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে গিয়ে উপনির্বাচন সংক্রান্ত আরও কিছু অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ অরূপের ‘হুমকি’র কথাও জানিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরের ‘চোখ উপড়ে’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি নিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল। দুই নেতার অবশ্য দাবি, তাঁরা উস্কানিমূলককিছু বলেননি।
দলের প্রচার সভায় নীলাদ্রিশেখর রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “দাদাদের বলব, বাড়ির স্ত্রী-মেয়ে-মায়েদের গয়না নয়, এক বেলার খাবারের টাকা জমিয়ে একটা একটা করে যন্ত্র কিনে রাখতে হবে। কী যন্ত্র বলছি, সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। যদি ‘দস্যুরানি’র কোনও কর্মী, কোনও হার্মাদ আপনার চোখে চোখ রাখে, সেই চোখটাকে তুলে ফেলতে হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে নিদান দিচ্ছি।”
অন্য দিকে, অরূপ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তৃণমূলের ঝান্ডা খুলে দেবেন! ১৩ তারিখ (উপনির্বাচনের দিন) আপনাদের কলিজা খুলে দেবে তালড্যাংরার মানুষ ভোটের মাধ্যমে। দেখবেন নরেন্দ্র মোদীর যন্ত্রদের কলিজাটা খুলে গিয়েছে, কারণ এরা বিপুল ভোটে পরাজিত হবে।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শুক্রবার নীলাদ্রিশেখরের ব্যাখ্যা, ‘‘আমি যন্ত্র মানে ‘বাদ্যযন্ত্র’ বোঝাতে চেয়েছি। কেউ আক্রমণ করলে তা বাজিয়ে লোকজন জড়ো করা যাবে।’’ আর অরূপের বক্তব্য, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেবিজেপির ষড়যন্ত্রের জবাব মানুষ দেবেন, সেটাই বলেছি।” তৃণমূলও সাংসদের হুমকিতে বিশেষ অন্যায় দেখছে না। দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কলজে ছিঁড়ে নেওয়া তৃণমূলের কাজ নয়। কিন্তু তৃণমূলের পতাকাই বা ছিঁড়ে দেওয়া হবে কেন? একটা ঘটনা ঘটলে তারপ্রতিক্রিয়াও হয়।’’