পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতকে কয়েক দফায় জেরা করে জানা গিয়েছে, ফয়জ়ল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই দলেরই যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।”
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ নভেম্বর দুপুরে হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তে টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ওই যুবক এ-পারে ঢোকেন। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা তাঁকে ধরেন। সে দিন বিকেলে তাঁকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পরের দিন পুলিশ তাঁকে কোর্টে হাজির করিয়ে বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিন দিন ও পরে, বুধবার পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ফয়জ়ল দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসেন।