স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাত আগে ডোলকলের বাসিন্দা সামিউলের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের বাসিন্দা মামনি খাতুন বিবির। প্রথম দিকে দু’জনের সম্পর্ক ভালই ছিল। কিন্তু বছর কয়েক ধরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। অভিযোগ, নিজের বৌদির সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সামিউল। তার পর থেকেই সামিউল এবং মামনির মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, এই পরকীয়াতে প্রচ্ছন্ন মদত ছিল সামিউলের মায়ের। বাড়িতে মামনির উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন তিনি। তবে, এ ভাবে তাঁর মৃত্যু হবে তা মানতে পারছেন না মৃতার পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার মধ্যরাতে মামনির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ।
মৃত বধূর আত্মীয় আলেসেরা খাতুনের অভিযোগ, ‘‘সামিউলের সঙ্গে তাঁর বড় বৌদির সম্পর্ক ছিল। তা জেনে ফেলায় মামনিকে খুন করেছে ওরা।’’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সামিউলের মা এবং বৌদিকে আটক করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল জানিয়েছেন, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে সামগ্রিক তদন্ত চলছে