কী ঘটেছিল? তিন ঘণ্টা স্টেজে প্রোগ্রামের বুকিং থাকলেও সাড়ে চার ঘণ্টা প্রোগ্রাম করানো হয়। রাত্রি নটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রোগ্রাম করেন শিল্পীরা। এরপর মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল নৃত্য করতে জোরাজুরি করা হয়। না শুনলে মারধর করা হয়। মারধর করা হয় প্রোগ্রাম অর্গানাইজার-সহ মহিলা শিল্পীদেরও।
একটি পুজো উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিল মেচেদার একটি নাচের দলের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম ২০০০ টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা। বাকি টাকা অনুষ্ঠানের শেষে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানের পরে নৃত্যশিল্পীদের দলের সঙ্গে ক্লাব কমিটির যুবকদের বিরোধ বাধে। তারা দাবি তোলেন, অশ্লীল নৃত্য করতে হবে। সেই কথায় রাজি হন না নাচের টিমের অর্গানাইজার যুবক। এরপর গ্রিনরুমে ঢুকে মারধর চালায় মহিলা শিল্পী-সহ অর্গানাইজার যুবকদের উপর। ব্যাপক শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে। আক্রমণে নৃত্যশিল্পীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
নন্দকুমার থানার পুলিস সূত্রের খবর, এসব অনুষ্ঠানের কোনও পারমিশন ছিল না। পারমিশন না নিয়ে অধিক রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালাচ্ছিল ওরা। আরো নাচ-গান করার জন্য দর্শকের সঙ্গে ক্লাব কমিটির যুবকেরা জোরাজুরি করছিলেন। যে কারণে গন্ডগোল বাধে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লাব কমিটির এক যুবকও আহত হয়েছেন বলে খবর। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।