পৃথ্বীরাজের বাবা বলেন, বড়ছেলে সোমবার রাজনীতির কাজে বাইরে গিয়েছিল। সোমবার, মঙ্গলবার পেরিয়ে গেল। বুধবারও ফিরল না। তখন আমার অন্য ছেলেকে বললাম ফোন করে দেখতে। ও ফোন করে দেখল সব মোবাইল বন্ধ। বুধবার কোনও একটা সময়ে ওর তিনটি মোবাইল খোলা হয়, আবার বন্ধও করে দেওয়া হয়। ছোট ছেলে ও জামাই বিজেপির অফিসে খোঁজ নিতে গেল। কিন্তু সামনের গেটে তালা দেওয়া ছিল। এরপর ওরা পার্টি অফিসের দক্ষিণ দিকের জানালা দিয়ে উঁকি মারে, দেখে একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ চাদর দিয়ে মোড়া রয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক খুন। এর পেছনে তৃণমূল ছাড়া আর কে থাকতে পারে?
অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি ওই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। এর পেছন কোনও মহিলা ঘটিত কারণ থাকতে পারে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার যৌনাঙ্গ কাটা হয়েছে। তার পরে তাকে খুন করা হয়েছে। সবে মিলিয়ে এটি কোনও রাজনৈতিক খুন নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে।
এনিয়ে বিজেপি নেতার ভাই সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার কনভেনার ছিল ওই যুবক। নিরীহ ছেলে। কারও সঙ্গে তার কোনও গোলমাল ছিল না। সে খুন হয়েছে। তাকে খুন করে পার্টি অফিসে রেখে যাওয়া হয়েছে বা পার্টি অফিসেই খুন করা হয়েছে। জানি না কী হয়েছে। তদন্ত করলেই বোঝা যাবে। ওর ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা দেখছি যাতে মৃতদেহটি কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থায় পোস্টমর্টেম করা যায় কিনা। আমরা চাইছি সঠিক তদন্ত হোক। অপরাধীরা শাস্তি পাক।