সুমন করাতি, হুগলি: প্রত্যেক বছরের মতোই রীতি মেনে এবারেও কুমারী পুজো হয়েছে চন্দননগর পালপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো মন্ডপে। অষ্টমীর পুজোর পর কুমারী পুজো করা হয়। এই বছর পুজোয় অংশ নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কৃতি।
জানা গিয়েছে, চন্দননগরেরই হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র ও ঋতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা কৃতি। চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে সে। এর আগে দুর্গাপুজো, রাজরাজেশ্বরী পুজো-সহ সাতবার কুমারী পুজোয় অংশ নিয়েছে। কৃতির মায়ের কথায়, ছোটবেলায় সাজতে খুব ভালোবাসে ও। যতবার কুমারী হিসাবে পুজো করা হয়েছে একটুও বিরক্ত হয়নি কৃতি।
দুর্গা ও কালীপুজোতেও কুমারী পুজো করার রীতি রয়েছে। আর জগদ্ধাত্রী যেহেতু দুর্গারই আর এক রূপ সেই পুজোতেও কুমারী পুজো হয়। পালপাড়া বারোয়ারী সেই রীতি মেনে কুমারী পুজো করে প্রতিবছর। এনিয়ে পালপাড়া বারোয়ারী সদস্য প্রনতি চক্রবর্তী বলেন, মেয়েদের সম্মান জানাতে কুমারীকে মাতৃরূপে আরাধনা করি। পালপাড়ার পুজো নিয়ম নিষ্ঠা মেনে হয়।
পুরোহিত সুশান্ত ঘোষালের কথায়,”মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপে পুজো করার জন্য হয় কুমারী পুজো। এতে মায়ের শক্তির দ্বারা নিজেরা উদ্ভুত হই। জগদ্ধাত্রী হল তন্ত্রের দেবী। তন মানে দেহ। সেই দেহের সাধনা করতে গেলে শক্তির সাধনা করতে হয়।” তিনি আরও বলেন, শক্তি সাধনা করতে গেলে মাতৃমূর্তির পুজো করতে হবে। বয়স অনুযায়ী কুমারীর নাম হয়। এখানে যে কুমারীর পুজো হল তিনি রুদ্রানী।