সংগঠনের তরফে আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী জানান, কয়েকটি কর্মসূচিকে সামনে রেখে তারা আগামী দিনে এগোবেন। তবে তার আগে তাদের দাবি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান সংগঠনের মুখপাত্র সৌরভ দাস। প্রথম দাবিতে বলা হয়েছে, সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। যে বা যারা দোষী তাদের ফাঁসি হোক। ১১ নভেম্বর থেকে নিয়মিত শুনানি শুরু হচ্ছে শিয়ালদহ কোর্টে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি জানানো হচ্ছে, ২৬ জানুয়ারির প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দোষীদের ফাঁসির সাজা সংক্রান্ত রায়দান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক। দ্বিতীয় দাবিতে বলা হয়েছে, যে কোনও আন্দোলন চলতে পারে, কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতে রোগী পরিষেবা যেন ব্যাহত না হয়।
তৃতীয়ত, অন্য কোনও চিকিৎসক সংগঠনকে যদি রাজ্য বা কলেজ স্তরে কমিটিতে রাখা হয় বা স্বাস্থ্য ভবনের কমিটিতে রাখা হয়, তা হলে সমসংখ্যক প্রতিনিধি তাদের সংগঠনের থেকেও রাখতে হবে। চতুর্থত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পঞ্চমত, অভয়া বা তিলোত্তমার নামে যে টাকা তোলা হয়েছে সেই তহবিলের তদন্ত করতে হবে। সঙ্গে সেই টাকা যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতার মা বাবার হাতে তুলে দিতে হবে। সেই অর্থে প্রয়াত চিকিৎসকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সামাজিক কাজ কিংবা স্কলারশিপ চালু করা হোক। ষষ্ঠত, অভয়ার নামে আরজি করে চেস্ট ডিপার্টমেন্টের একটি ওয়ার্ডের নামকরণ করার দাবিও করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
তবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলে আক্রমণ করায় বিরোধী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের সদস্য অনিকেত মাহাতোর বিরুদ্ধে সংগঠনগত ভাবে তারা মানহানির মামলা দায়ের করবেন, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দু’টি কর্মসূচির কথাও জানানো হয়েছে এই কনভেনশনে। দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার দাবিতে আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে যাবে। যে হেতু শিয়ালদহ কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের অন্তর্ভুক্ত, তাই প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানাবেন তারা।