• 'পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও ...', সুকান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
    আজ তক | ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • 'পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনও দল থাকবে না'। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ওই মন্তব্য করে পুলিশের অসম্মান ও অবমাননা করেছেন। 

    বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করতে পুলিশের প্রসঙ্গ টানেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,'পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে সেই অশোক স্তম্ভ টুপি থেকে খুলে রাখুন, তার বদলে একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন।' 

    তিনি আরও বলেন,'ভোটে তো আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই নয়, পুলিশের সঙ্গে লড়াই। পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনও রাজনৈতিক দল থাকবে না'। যোগ করেন,'পুলিশ বলতে চাই পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, সময় আসছে। মনে রাখবেন, চিরকাল কারও সমান যায় না। কখনও নৌকার উপরে গাড়ি ওঠে, কখনও গাড়ির ওপরে নৌকা ওঠে। তাই পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যদি দালালি করতে হয়, খাকি ছাড়ুন, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করুন। কত দম আছে আমরা দেখে নেব। কিন্তু পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন। জনগণ সম্মান করবে। কম সে কম বলবে, যে তৃণমূল করছে। বুক ফাটিয়ে তৃণমূল করছে। বুক ফুলিয়ে তৃণমূল করছে। চুপ করে চুরি করে তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। এই তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের জন্য টিকে আছে'। 

    শনিবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে ছিলেন সুস্মিতা দেব, ডেরেক ও'ব্রায়েন, কীর্তি আজাদ ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনে সুকান্তকে নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের নেতারা।কমিশনকে তৃণমূল অভিযোগপত্রে জানিয়েছে,'পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য মিথ্যা, অবমাননাকর এবং অসম্মানজনক। সেই সঙ্গে জাতীয় প্রতীকের অবমাননাও করেছেন'।

    সুস্মিতা দেব জানান,'জাতীয়তাবাদের প্রচার করে বিজেপি। অথচ সেই দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলছেন, পুলিশের অশোক চক্র খুলে চটি লাগাতে। এই ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। আমরা ওই মন্তব্যের নিন্দা করি। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ চাই'। 
  • Link to this news (আজ তক)