হলদিয়া থেকে অপহরণ করে আগ্রার নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি! সাত বছর পর সাজা ঘোষণা পকসো আদালতের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
দীর্ঘ সাত বছর পর হলদিয়ার এক মানব পাচার চক্রের ঘটনায় দোষীদের সাজা শোনালো হলদিয়া পকসো আদালত। মানব পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত একজনকে আজীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাকি পাঁচজনকে বারো বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। হলদিয়ার এক ষোলো বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে পাচার করে দেওয়া হয় আগ্রার এক যৌনপল্লীতে। পরে নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই তৎপর হয় পুলিশ। তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও। তদন্তে জানা যায়, হলদিয়া থেকে অপহরণ করে দিল্লি হয়ে আগ্রার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে অপহরণকারীরা। তারপর সে রাজ্যের পুলিশের সহায়তায় আগ্রা থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় শাহজামাল মোল্লা, শালু সিং, প্রবীণ কুমার ওরফে রিঙ্কু,মনীষা, মারি এবং শাহনাওয়াজ বেগম ওরফে ইন্দুসহ আরও একজনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের পাশাপাশি মামলা করা হয় তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায়। শুক্রবার সেই মামলারই নিষ্পত্তি করে হলদিয়া পকসো আদালত। তাতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত শাহজামাল মোল্লাকে। ২০ বছর সশ্রমকারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় শালু সিংকে।
একই সঙ্গে অন্যদের ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ৩ লক্ষ টাকার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সাতজন হলেও একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর আদালত সূত্রের।