• দশ পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে চাকড়া নেতাজি সঙ্ঘের জগদ্ধাত্রী পুজো হয়
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • উজ্জ্বল পাল, বিষ্ণুপুর: দশ পুরোহিতের একত্র মন্ত্রোচ্চারণে কোতুলপুরের চাকড়া নেতাজি সঙ্ঘের সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপে ভক্তিভাবের পরিবেশ তৈরি হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কুমারী পুজো এবং নরনারায়ণ সেবার মধ্যে দিয়ে পুজোর চারদিন চাকড়া গ্রামে মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, এবার তাঁদের পুজো সপ্তম বর্ষে পড়েছে। পুজোয় নিষ্ঠার পাশাপাশি জৌলুসে খামতি রাখা হয় না। চারদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গ্রামে মেলাও বসে। লাউগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্যতম ওই পুজোকে কেন্দ্র করে আশেপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়। 

    পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপকুমার মাজি বলেন, আমাদের পুজো চারদিন ধরে চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দশমীর দিন বিসর্জন হয় না। বুধবার বিসর্জন হবে। পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়।  পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে চাকড়া এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো হতো না। সাত বছর আগে গ্রামের কিছু প্রবীণ ব্যক্তি ক্লাবের ছেলেদের জগদ্ধাত্রী পুজো চালু করার পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে কেউ প্রতিমা, কেউ প্যান্ডেল, কেউ অর্থ সাহায্য করেন। তা দিয়েই প্রথম বছর পুজো প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে চাকড়া সহ কঙ্কাবতী, হাসনডাঙা, মুখা, বলরামপুর প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারাও পুজোয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পুজোর জৌলুস বাড়ে। অধিক দর্শনার্থী যাতে দেখতে পারেন তার জন্য আটচালার মতো প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামের একাধিক পুরোহিত পুজোয় মন্ত্রপাঠ করতে আগ্রহী হন। গত কয়েকবছর ধরে অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোর সময় দশজন পুরোহিত একই সুরে একত্রে মন্ত্রোচ্চারণ করেন। তা দেখতে মণ্ডপে বেশ ভিড় জমে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। শনিবার পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। আজ নবমীর দিন সকালে পড়শা পুকুর থেকে কলসে করে জল আনার সময় মহিলারা শোভাযাত্রা সহকারে গ্রাম প্রদক্ষিণ করবেন। আজ কয়েক হাজার মানুষকে প্রসাদ বিলি করা হবে।  -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)