কৃষ্ণগঞ্জে আজ জগদ্ধাত্রীপুজো, শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ততা
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা,কৃষ্ণনগর: রবিবারই জগদ্ধাত্রী পুজো। তাই কৃষ্ণগঞ্জে শনিবার পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলল। চারদিকে পুজো মণ্ডপের শেষ পর্যায়ের কাজ চলে। মণ্ডপে মণ্ডপে মৃৎশিল্পীদের কারখানা থেকে প্রতিমা আনা হচ্ছে। আলোর রোশনাইয়ে মণ্ডপ ও তার আশপাশ সাজিয়ে তোলার কাজ চলে।
এবার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় ৩০টি জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিস কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। বাইক ও চারচাকার গাড়িতে পুলিস সারা এলাকায় ঘুরছে। কোথাও জটলা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য পুলিস নজর রাখছে। পুজোয় ডিজে ও শব্দবাজি ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তা না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। রাত ১০টার পর মাইকও বাজানো যাবে না। শব্দবাজিও ফাটানো যাবে না। এই নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বেশিরভাগ পুজোর অনুমতি রয়েছে। তবে কিছু পুজোর অনুমতি নেই। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ভাজনঘাটের পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়া বারোয়ারির পুজো সবচেয়ে পুরনো। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই দু’টি জগদ্ধাত্রীপুজো হচ্ছে।
ভাজনঘাটের পশ্চিমপাড়ার পুজো বাড়ুজ্যেদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে এই পুজো করা হয়। পুজো কমিটির কর্তা সুশান্ত ঘোষ বলেন, বাবা-দাদুদের মুখে শুনেছি, আমাদের পুজো ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে হচ্ছে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত পুজোর মতো করেই এখানে পুজো হয়। অর্কেস্ট্রা, বাউল সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে।
ভাজনঘাটের পূর্বপাড়া বারোয়ারির পুজো রায়বাহাদুরদের হাতে শুরু হয়েছিল। পরে গ্রামের মানুষ পুজোর দায়িত্ব নেন। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। পুজো কমিটির তরফে প্রতাপ হালদার বলেন, সমস্ত প্রাচীন রীতি মেনে পুজো করা হয়। আমাদের প্রতিমা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন।
লক্ষ্মীডাঙা অনামিকা ক্লাবের পুজোতেও আড়ম্বর থাকছে। সাবেকি ঘরানার দেবীপ্রতিমা থাকে। পুজো কমিটির তরফে শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, আমাদের পুজো ১৯৮০ সালে শুরু হয়। পুজোতে এলাকার মানুষ খুব আনন্দ করেন। আমরা গ্রামে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করি। সারা কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মানুষ আমাদের পুজো দেখতে আসেন।
কৃষ্ণগঞ্জের কাঁটাতারহীন এলাকা বিজয়পুর। এখানে বিজয়পুর সর্বজনীন জগদ্ধাত্রীপুজো বৈষ্ণবমতে হয়। সাবেকি ঘরানার প্রতিমা। শনিবার বিকেলে এই পুজোর উদ্বোধন করেন বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।