বোলপুরে ৪০-ঊর্ধ্বদের ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিল ১৬টি দল
বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বোলপুর: রাজ্যে খেলাধুলোয় একটা সময় বোলপুরের যথেষ্ট সুনাম ছিল। এখন গড়পরতা বাঙালির মধ্যে খেলাধুলোয় আগ্রহ কমে গিয়েছে। তবে সেটা টিকিয়ে রেখেছেন আদিবাসীরা। শনিবার বোলপুরের ওল্ড ইজ গোল্ড ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এমনটাই বলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। খেলাধুলোয় আগ্রহ টিকিয়ে রাখার জন্য আদিবাসী সমাজকে তিনি ধন্যবাদও জানান।
ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকবাংলো মাঠে ৪০-ঊর্ধ্ব খেলোয়াড়দের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শিশির ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিদ্যাসাগর সাউ ও সহ-সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষও সেখানে ছিলেন।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। তাহলে সেসব প্রতিভাকে রাজ্য তথা জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে সরকারও সাহায্য করতে পারবে বলে তিনি জানান।
অনুব্রতবাবু এদিন বলেন, ভারতীয় মহিলা বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন বোলপুরের অপর্ণা ঘোষ। তিনি বোলপুর টাউন ক্লাবের খেলোয়াড় ছিলেন। এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয়। বোলপুরের ইয়ং টাউন ক্লাব, টাউন ক্লাবে একটা সময় নানা ধরনের খেলাধুলো হতো। সেসময় আমাদের শহরের নাম ক্রীড়াজগতে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশেষত ফুটবলে বোলপুরের অনেক দিকপাল খেলোয়াড় রাজ্য তথা জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এসব মনে পড়লে ভালো লাগে। কিন্তু এখন বাঙালিদের মধ্যে খেলাধুলার প্রবণতা কমে গিয়েছে। শুধুমাত্র আদিবাসীরাই তা ধরে রেখেছেন। সেজন্য ওঁদের ধন্যবাদ জানাই। এই প্রতিযোগিতা নবীন প্রজন্মকে খেলাধুলোয় অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি মনে করি।
এই অভিনব ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক বীরভূম প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, আমরা যারা আগে ফুটবল খেলতাম, তাঁদের মধ্যে ৪০-ঊর্ধ্ব খেলোয়াড়দের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বীরভূম, বর্ধমান, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের খেলোয়াড়রা তো এসেছেনই। সেইসঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের দুমকার খেলোয়াড়রাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাব, জাতীয় দলের প্রাক্তন দিকপাল খেলোয়াড়দের অনেকেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তারা মাঠে খেলাধুলো ভুলতে বসেছে। প্রবীণদের খেলাধুলা করতে দেখে তারাও মাঠমুখী হবে বলে আমি আশাবাদী। রবিবার এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল প্রতিযোগিতা হবে। জেলাশাসক বিধান রায় সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।