নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত কুলিক পক্ষীনিবাসের পাশে চলল বিনোদনের আসর। অভিযোগ, সাউন্ড সিস্টেম, গানবাজনার তালে তাল মিলিয়ে জ্বলল অত্যাধুনিক পালকো লাইট। পক্ষীনিবাসের পাশে এধরনের অনুষ্ঠান কেন করা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরিবেশ আইন অনুযায়ী ইকো সেনসিটিভ জোন হিসেবে চিহ্নিত বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত এলাকায় বিকট আওয়াজে গানবাজনা করে প্রাণীদের বিরক্ত করা যায় না। এদিন সেই আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালসের অন্যতম সদস্য গৌতম তান্তিয়ার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কুলিক পক্ষীনিবাসের পাশে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ওই এলাকায় সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে এসব করা যায় না। বনদপ্তর পুলিসকে জানালেও পদক্ষেপ নেয়নি। গৌতমের দাবি, ২০১৮ সালে ইকো সেনসিটিভ জোন হিসেবে কুলিক পক্ষীনিবাস চিহ্নিত হয়েছে। একটি মনিটরিং কমিটিও তৈরি হয় জেলায়। যেটির সদস্য হিসেবে আমিও রয়েছি। কিন্তু ওই কমিটির কোনও বৈঠক হয়নি বলে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা যাচ্ছে না। এদিকে বনদপ্তরের রায়গঞ্জ ডিভিশন সূত্রে খবর, গানবাজনার বিষয়টি রাতে পুলিসকে জানানো হয়েছিল।
ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, শুক্রবার রাতে ওই অনুষ্ঠান শুরু হতেই বিষয়টি দপ্তরের তরফে মৌখিকভাবে রায়গঞ্জ থানায় জানানো হয়েছিল। তারপর কী পদক্ষেপ হয়েছে বা হয়নি জানি না। পক্ষী অভয়ারণ্যের পাশের জায়গা সাইলেন্স জোন হিসেবে চিহ্নিত। মাত্রাহীন শব্দ বা আলোর ব্যবহার না করার জন্য স্থানীয় মানুষকে অনুরোধ করে বনদপ্তর। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করা হয়নি শুক্রবার। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে পুলিস সেখানে গিয়ে রাত এগারোটা নাগাদ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। নিজস্ব চিত্র