সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শতাব্দী প্রাচীন স্কুল থেকে শুরু হয়েছিল রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গোষ্ঠ। যা গোপাল বান্ধব পাঠশালার গোষ্ঠ নামে পরিচিত। শনিবার সেই গোষ্ঠের শোভাযাত্রা হল রায়গঞ্জে।
পণ্ডিত গোপালচন্দ্র মণ্ডল ১৯১৫ সালে অবিভক্ত দিনাজপুরের রাইগঞ্জ বন্দর এলাকায় নিজের বাড়িতে একটি স্কুল খোলেন। সেখানে তিনি কচিকাঁচাদের শিক্ষাদান করতেন। ১৯২৫ সাল নাগাদ দিনাজপুরের জমিদারদের বাড়িতে গোষ্ঠলীলা উৎসব দেখে মোহিত হন গোপালচন্দ্র। কথিত আছে, গোপালচন্দ্র নিঃসন্তান ছিলেন বলে পুত্রলাভের কামনায় গোষ্ঠ উৎসবের মানত করেন শ্রীকৃষ্ণের কাছে। ১৯২৭ সালে সন্তানসম খুদে পড়ুয়া এবং এলাকার কিছু মানুষকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ওই স্কুল প্রাঙ্গণ থেকেই গোষ্ঠলীলা উৎসবের সূচনা করেন তিনি। পরের বছরই সন্তান লাভ করেন গোপালচন্দ্র। তখন থেকেই গোষ্ঠ চলে আসছে। যা গোপাল বান্ধব পাঠশালা গোষ্ঠ নামে পরিচিত। নগরকীর্তনের পাশাপাশি ছোটদের শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম সহ নানা দেবদেবী সাজিয়ে সপ্তাহব্যাপী নগর পরিক্রমা শুরু করেছিলেন গোপালচন্দ্র।
তাঁর বংশধর রাম নারায়ণ মণ্ডল বলেন, সেই বিদ্যালয়ের আর অস্তিত্ব নেই। স্বাধীনতার পর সরকারি অনুমোদন পেলেও ২০০৯ সালে পড়ুয়া ও পরিকাঠামোর অভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। তবে এখনও বন্দরের এই বাড়ি গোপাল বান্ধব পাঠশালা নামেই পরিচিত। পাঠশালা ও গোষ্ঠ কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর শোভাযাত্রা হয়। এদিন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, উপ পুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার, ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর চৈতালী ঘোষ সাহা ছাড়াও বিশিষ্টরা ছিলেন শোভাযাত্রায়। কৃষ্ণ বলেন, শোভাযাত্রায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্টি, সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ছৌ নৃত্য হয়েছে। বাচ্চারা দেব, দেবী সেজে অংশ নিয়েছিল। নিজস্ব চিত্র