• ‘এমন দুর্ঘটনা কখনও দেখিনি, এটা মিরাকল’ মন্তব্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকের
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ডাউন লাইন থেকে মিডল লাইনে ঢুকতে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। কিন্তু ট্রেনের সামনের অংশ, অর্থাৎ ইঞ্জিন অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ডাউন লাইনেই। তার পিছনের একাংশ ডাউন লাইন ও মিডল লাইনের মাঝে নেমে গিয়েছে। কিন্তু তারও পিছনের কামরাগুলি মিডল লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঠায়। এমনও হতে পারে! শনিবার ভোরে নলপুর স্টেশনের ২৬ নম্বর পয়েন্টে লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২২৮৫০ ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পর এমন ‘অদ্ভুত’ পরিস্থিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় রেলের আধিকারিক, পুলিস থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজনের। এই ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক আই জে জর্ডন বলছিলেন, ‘আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে এরকম দুর্ঘটনা দেখিনি। ডাউন লাইনে ইঞ্জিন সহ কয়েকটি কামরা থাকার পরও মিডল লাইনে কয়েকটি কামরা কীভাবে উঠে পড়ল, তা কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না। এটা একটা মিরাকল।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৮০৪৫ আপ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসে ডিউটি করার পর ভুবনেশ্বর থেকে এই ট্রেনে উঠেছিলাম। ভোরের দিকে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শোনা গেল। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেলে ট্রেন। কিন্তু কীভাবে এরকম কাণ্ড ঘটল, কিছুতেই  মাথায় ঢুকছে না।’ 

    এদিন নলপুর স্টেশনের পশ্চিম কেবিনের ২৬ নং পয়েন্টের কাছে গিয়ে দেখা গেল, ইঞ্জিন ডাউন লাইনে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু নলপুর পশ্চিম লেভেল ক্রসিংয়ের কাছ থেকে ১০০ মিটারের বেশি ডাউন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্লিপার ভেঙে গিয়েছে। খুলে গিয়েছে একাধিক প্যানড্রল ক্লিপ। ট্রেনের ইঞ্জিন ডাউন লাইনে থাকলেও কয়েকটি কামরা কীভাবে অক্ষত অবস্থায় মিডল লাইনে ও ডাউন লাইনে থেকে গেল, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সবাইকে। নলপুরের বাসিন্দা রামিজ বলছিলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব? ইঞ্জিনের পিছনে থাকা পার্সেল ভ্যান মিডল লাইন থেকে লাইনচ্যুত হল, অথচ ইঞ্জিন ডাউন লাইনেই থেকে গেল। এটা তো অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’ এ বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম অনিল কুমার মিশ্র বলেন, ‘তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে ঠিক কী ঘটেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই বলা সম্ভব।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)