গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বছর পাঁচেক আগে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থায়ী শ্মশান চুল্লি নির্মান হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিবারের সদস্যদের কেউ মারা গেলে শ্মশান মুখো হতেই চাননা কেউই। আর হবেনই বা কিভাবে? চুল্লি পর্যন্ত পৌঁছানোর নেই কোনও রাস্তা। আগাছা আর জঙ্গলে পরিপূর্ণ গোটা এলাকা। কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থাতেই বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে। পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের একমাত্র স্থায়ী কাঠের শ্মশান চুল্লির এহেন বেহাল অবস্থায় বেজায় অখুশি গ্রামবাসীরা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মামুদপুর এলাকার।
স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, বরাবর গ্রামের মানুষজন যেখানে মৃতদেহ দাহ করে আসছেন সেইখানে শ্মশান চুল্লিটি নির্মাণ না হয়ে হয়েছে অন্যত্র একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। শুধু তাই নয়, শ্মশান পর্যন্ত যাওয়ার নেই কোনও রাস্তা।ফলে মৃতদেহ সৎকার করার জন্য সেখান পর্যন্ত যাওয়া রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার।এর পাশাপাশি নেই জলের ব্যবস্থা,নেই শেড কার্যত অপরিকল্পিত ভাবেই নির্মিত হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শ্মশান চুল্লিটি।ফলে বাধ্য হয়েই সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পরিজনদের মৃতদেহ সৎকার করতে হচ্ছে যেখানে সেখানেই।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত রাস্তা তৈরি হোক যাতে গ্রামের মানুষজন প্রিয়জনদের অন্তিম সংস্কার করতে পারেন শান্তিতে। আর দীর্ঘ দিন ধরে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থেকে আগাছায় ঢেকেছে শ্মশান চুল্লি-সহ আশপাশের জায়গাটি। সরকারি লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে এভাবে অপরিকল্পিত ভাবে শ্মশান চুল্লি নির্মানে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজন ব্যবস্থা করে দ্রুত চালু হোক শ্মশান চুল্লি দাবি এলাকাবাসীর। যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সূর্যকান্ত দোলই জানিয়েছেন, 'বিষয়টি শুনেছি খতিয়ে দেখে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে, রাস্তা-সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে ওখানে।'