ভিন রাজ্যের হোটেলের ঘরে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের দেহ, খুন না কি আত্মহত্যা?
প্রতিদিন | ১০ নভেম্বর ২০২৪
ধীমান রক্ষিত ও রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু! শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের একটি হোটেল থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। হাতের শিরা কাটা ছিল বলে সূত্র মারফত খবর। মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পরিবার।
মৃত অধ্যাপকের নাম মৈনাক পাল। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বরাহনগরের বাসিন্দা মৈনাকের পাহাড়ে ঘোরার নেশা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে দুই বন্ধুর (তারা কেউই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নন) সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাঘ এক্সপ্রেসে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই কারণে স্টেশনের কাছে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে সেই হোটেলের একটি ঘর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শনিবার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মেধাবী এই অধ্যাপক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন। তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। ২০২২ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছিলেন তিনি। অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুতে অবাক সহকারীরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “মৈনাকের চলে যাওয়াতে আমরা মর্মাহত, শোকাহত। শুধু অধ্যাপক নয় একজন উজ্জ্বল গবেষক, শিক্ষককে আমরা হারালাম। বুঝতে পারছি না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ” রবিবার সকাল পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জানতে পারিনি। তবে শুনেছি অধ্যাপক মৈনাক পালের মৃত্যু হয়েছে।” দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক দীপায়ণ পট্টনায়ক বলেন, “মেধাবী অধ্যাপক ছিলেন মৈনাক। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি শোনার পর বিশ্বাস করতে পারিনি। আমরা ছাত্র, শিক্ষকরা প্রত্যেকেই মর্মাহত।” শোকপ্রকাশ করে জুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় জানান, “মৈনাক এখানে ২০২২ সাল থেকে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমরা পরিচিত ছিলাম। এই খবর পর আমরা ভেঙে পড়েছি। আমরা শোকাহত।”