মেদিনীপুরের চাঁদড়ায় প্রচারে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছেন, “আর জি করে আমার বোনকে কী ভাবে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে? ভোটে এর বদলা নিতে হবে। জাগুন মা, দিদি, বোনেরা।” বাঁকুড়ার তালড্যাংরাতেও তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকজন তথ্য লোপাট করতে, ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে (নির্যাতিতার) পরিবারকে কিনতে গিয়েছিলেন।” দলের অন্দরে শুভেন্দু ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে চর্চা থাকলেও এ দিন চাঁদড়ার সভায় দু’জনকে এক সঙ্গেই দেখা গিয়েছে। দিলীপও দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে শালবনির কাশীজোড়ায় গিয়ে আর জি কর-কাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তৃণমূলের প্রচারে অবশ্য আগাগোড়া উন্নয়নের কথাই ছিল। দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া বলেন, “আপনারা দেখেছেন, কী ভাবে তৃণমূল আপনাদের পাশে থেকে কাজ করেছে। করোনার সময়ে আমাদের সবাই কিন্তু আপনাদের পাশে থেকেছেন।” উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে রোড শো ও পরে জনসভা করে এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নে তাঁদের দলের প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বান জানান তৃণমূলের দুই সাংসদ সায়নী ঘোষ, পার্থ ভৌমিক।
সিপিএমের ভোট প্রচার জুড়ে যদিও তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগই ছিল। মেদিনীপুরের বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “অপরাধ দমনের বদলে, অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল আরএসএস-এর পরিকল্পনায় বামপন্থীদের নিকেশ করতে নেমেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠকে রোধ করা হচ্ছে।” হাড়োয়ায় আইএসএফ প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে এক সঙ্গেই দেখা গিয়েছে দলের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীদের। সুজন বলেন, “তৃণমূল এখন মা-বোনের ইজ্জত লুটছে। বিজেপি কখওনই তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে না। এদের উভয়ের বিরুদ্ধে বিকল্প দেবে বামফ্রন্ট আর আইএসএফ জোট।” কার্যত একই কথা বলেছেন নওসাদও। সেই সঙ্গে, লক্ষ্মীর ভান্ডার মাসে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করারও দাবি জানান তিনি।
প্রচারে পিছিয়ে ছিল না কংগ্রেসও। সিতাইয়ে দলের প্রার্থীর সমর্থনে পথসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, শিলিগুড়ির পুরপ্রতিনিধি সুজয় ঘটক প্রমুখ। জনতার উদ্দেশে শুভঙ্কর বলেছেন,“কেন্দ্রে বিজেপি, এ রাজ্যের প্রথমে বাম ও পরে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের আমলে কী হয়েছে এবং কংগ্রেস আমলে কী হয়েছিল, তা ভেবে আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।”