তৃণমূলের বিরুদ্ধেই দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তদন্তে নেমে শনিবার সুজাতা পোদ্দার নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, পৃথ্বীরাজকে খুনের কথা কবুল করেছেন সুজাতা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই বিজেপি নেতার। ছ’বছর ধরে তাঁরা প্রেম করেছেন। সম্প্রতি পৃথ্বীরাজ একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তা নিয়ে কথা বলতেই বিজেপির পার্টি অফিসে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুজাতা। সেই সময় প্রেমিকাই ব্লেড দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। সুজাতাকে জেরা করে এমন তথ্যই মিলেছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে খবর। আজ এই ঘটনার তদন্তের দিকে নজর থাকবে।
মাকে ফোন করার কিছু ক্ষণের মধ্যে রেললাইন থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁকে ফোন করে মেয়ে বলে, ‘‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না!’’ আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রেললাইন থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না। তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবারের। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পড়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেন কালনা স্টেশনের দিকে গিয়েছিল ওই ছাত্রী? কেন হঠাৎ মাকে ফোন করে বলল, ‘‘ওরা আমাকে বাঁচাতে দেবে না।’’ ‘ওরা’ বলতে কাদের কথা বলতে চেয়েছিল সে। আজ নজর থাকবে এই ঘটনার তদন্তে।
তিথি অনুযায়ী আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আজই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তবে চন্দননগরে উৎসব শুরু হয়েছে ষষ্ঠী থেকেই। সপ্তমী, অষ্টমীতে উপচে পড়া ভিড় দেখেছে ফরাসডাঙা। বিভিন্ন মণ্ডপে নেমেছিল দর্শনার্থীদের ঢল। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন চন্দননগরে পুজো দেখতে। আর চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই বড় প্রতিমা আর আলোর খেলা। আজ তা-ই দেখতেই ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী বারোয়ারিগুলি।
শনিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছে পাকিস্তানের কোয়েটা স্টেশনে। পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াতেই জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চার দিক। ওই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন সেনা-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী। ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। যাত্রীদের ভিড়েই লুকিয়েছিল হামলাকারী। তবে তদন্তকারীদের আরও অনুমান, যাত্রীরা নয়, বরং বোমা-হামলার মূল নিশানায় ছিল পাক সেনার ওই দল। আজ নজর থাকবে এই সংক্রান্ত খবরে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পারদ পতনের সম্ভাবনা। আগামী সপ্তাহে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উত্তুরে হাওয়া ঢুকলে পারদ নামবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা কমবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে অপেক্ষাকৃত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।