মৃতা অন্তরা অশোকনগরের সেনডাঙার বাসিন্দা। তিন-চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সম্প্রতি গর্ভপাত হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ৬ নভেম্বর তাঁকে বনগাঁর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। সে সময় তরুণীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার বিকেল ৪টের সময় মৃত্যু হয় অন্তরার।
এর পরেই অন্তরার স্বামী পলাশ পাল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অন্তরার মামা বিশ্বজিৎ পাল। ওই নার্সিংহোমের মালিক তথা চিকিৎসক মলয় সাহা বলেন, ‘‘গাফিলতির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তরুণীর গর্ভস্থ শিশু আগেই মারা গিয়েছিল। রোগীর পরিবার চিকিৎসা করার জন্য জানিয়েছিল। আমি তাদের অন্য ডাক্তার দেখাতে বলেছিলাম।’’ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।