ঘটনার সূত্রপাত ৯ আগস্ট। সেদিন সকালে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিত্সকের অর্ধনগ্ন দেহ। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে। সেই প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে গোটা দেশ, এমনকী, বিদেশেও! বিচারের দাবিতে একযোগে পথে নামেন চিকিত্সক, জুনিয় চিকিত্সক ও সাধারণ ও সাধারণ মানুষ।
এদিকে চিকিত্সককে খুন ও ধর্ষণের তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। এরপর হাইকোর্টে নির্দেশে আরজিকর কাণ্ডে তদন্তভার যায় CBI-র হাতে। সূত্রের খবর, গণধর্ষণ নয়। আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত একজন-ই, সঞ্জয় রায়। শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর ৪ নভেম্বর শিয়ালদহ কোর্টেই চার্জ গঠন করা হয়। এবার শুরু হবে বিচারপর্ব।
সূত্রের খবর, আরজি কর মামলায় সাক্ষীদের তালিকায় রয়েছেন ১২৮ জন। তারমধ্যে ৫৬ জনকে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল, সোমবার নিহত চিকিত্সকের পরিবারের এক সদস্যকে দিয়ে শুরু হবে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। এরপর একে একে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বাকিদেরও। তবে গোটা বিচারপর্ব রুদ্ধদ্বার।
সিবিআইয়ের হাতিয়ার
-----
বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স
--
অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ডিএনএ রিপোর্ট। যা মিলে গিয়েছে নিহত তরুণীর শরীরের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে।
একাধিক ফরেনসিক রিপোর্ট।
----------
ডিজিটাল এভিডেন্স
--
হাসপাতালের ৫৬ সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ। যে ফুটেজে ধরা পড়েছে ঘটনার দিনে রাতে অভিযুক্তের গতিবিধি।
--------
পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ
--
ঘটনাস্থলে থেকে পাওয়া গিয়েছে ব্লুটুথ হেডফোন। ফরেনসিক পরীক্ষা রিপোর্টে স্পষ্ট, ওই ব্লুটুথ হেডফোনটি অভিযুক্ত সঞ্জয়েরই। এছাড়াও সাক্ষীদের বয়ান।
স্রেফ সঞ্জয় নয়, আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বুধবার তাঁদের গ্রেফতারি ৬০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামীকাল, সোমবার সন্দীপ-অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হতে পারে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)