নারী নিগ্রহের জেরে নেতাকে বহিষ্কার, সেই নিয়ে হাতাহাতি হল সিপিএমের সম্মেলনে
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ নভেম্বর ২০২৪
এবার কলকাতাতে সামনে এল সিপিএমের গোষ্ঠীকোন্দল। নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই সম্মেলন চলাকালীনই দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। টালিগঞ্জ ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্মেলন চলাকালীন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারফলে কার্যত ভেস্তে যায় সম্মেলন। এই সংঘর্ষ সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয় দলীয় নেতাদের।এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের অন্দরে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সংঘর্ষের ফলে বেশ কিছুক্ষণ সম্মেলন বন্ধ থাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার টালিগঞ্জ ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্মেলন শুরু হয়। শনিবার ভোটাভুটির মাধ্যমে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেই সম্মেলনে এলাকার এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, ওই সিপিএম নেতার নাম সোমনাথ ঝাঁ। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ ওঠার পরেই ওই নেতাকে বহিষ্কার করে দেয় সিপিএম। এই নিয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতা গৌতম গুহ রায়ের স্ত্রী ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যদিও দলের আপত্তিতে পড়ে সেই ভিডিয়ো তিনি মুছে দেন। কিন্তু, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ঘটনা এভাবে সোশ্যাল মাধ্যমে কীভাবে তুলে ধরা হল মূলত সেই ইস্যুতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় দুই তরুণ নেতা টিভু এবং টুবাইয়ের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্রে দুই পক্ষের সমর্থকরা মঞ্চের কাছাকাছি জায়গায় গিয়ে সমস্যা তৈরি করে। এর ফলে সম্মেলনের কাজ ব্যাহত হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোটাভুটির মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে সম্মেলন। তবে শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আবার সম্মেলন শুরু করা হয় এবং ভোটাভুটি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার জেরে ভোটাভুটির কাজে দেরি হয়। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিপিএমের টালিগঞ্জ-২ এরিয়া কমিটির সম্মেলনে ভোটাভুটি চলে। মোট ৩৪৩ জন ভোট দিয়েছেন তাতে। পরে শুরু হয় ভোট গণনা। এবিষয়ে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, কিছু লোক আছে যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জন্যই এরকম ঘটনা। তবে এনিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের এক নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, এখন সিপিআইএম দলটা সার্কাসে পরিণত হয়েছে।